নিজস্ব সংবাদদাতা: পর্তুগিজ সবজি আলু অনেক আগেই ঢুকে পড়েছে বাঙালির হেঁসেলে। আলু ছাড়া যেন বাঙালির রান্নাঘর অচল। আলু ভাতে হোক কিংবা মাছের ঝোলের আলু সবকিছুই যেন অমৃত। কিন্তু যেভাবে রকেট গতিতে বেড়ে গিয়েছে আলুর দাম তাতে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে আলুর যোগান কম অথচ ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি হচ্ছে তা শুনে ব্যাপক চোটে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দেন ভিন রাজ্যে কোনভাবেই আলু সরবরাহ করা হবে না। কোল্ড স্টোরেজে থাকা আলু সরবরাহ করতে হবে বাংলার বাজার গুলিতে। কয়েকদিন পরেই বাজারে আসবে নতুন আলু। শীত মানেই নতুন আলুর দম আর কড়াইশুঁটির কচুরি। কিন্তু কোল্ড স্টোরেজে এখনো মজুত রয়েছে লক্ষ লক্ষ প্যাকেটের আলু।
এই আলুর ভবিষ্যৎ কি হবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ী থেকে কৃষকেরা। সরকারের নির্দেশমত অন্য রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ব্যবসায়ীরা আর্জি জানিয়েছেন, আলু বাইরে বার না করা হলে তা নষ্ট হয়ে যাবে। এই বিপুল পরিমাণ আলু বাজারে রপ্তানি করাও যাবে না।
এদিকে আলু নিয়ে চরম তৎপরতা প্রশাসনের। জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতে আলো যেতে না পারে তার জন্য প্রশাসনিক টহলদারি চলছে জোর কদমে। বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য সড়কের উপর করা হয়েছে চেক পয়েন্ট। আলুর গাড়ি দেখলেই ধরা হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের আলু মূলত যায় ঝাড়খন্ড এবং ছত্রিশগড়ে। সেখানেও আলু যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
একে তো আলু হিমঘরে পচে যাচ্ছে অন্যদিকে বিক্রি হচ্ছে না। সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। আলু ব্যবসায়ীরা বলছেন পশ্চিম মেদিনীপুরে হিমঘরে এখনো ১ লক্ষ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আলু মজুদ রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ আলু যদি রপ্তানি না হয় তবে তাদের কোটি কোটি টাকার লোকশান হবে।