নিজস্ব সংবাদদাতা : ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে উত্তেজনা তীব্র হওয়ায় বহু মানুষ তাঁদের বাড়ি-ভিটে ছেড়ে মালদার ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বৈষ্ণবনগরের একটি স্কুলে ত্রাণশিবির গঠন করা হয়েছে, যেখানে এই উদ্বাস্তু মানুষদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/14/SBBJMEjiD4tsNSF6LSSm.jpg)
বনবাসী মণ্ডল, একজন শ্রমিক, যিনি নিজের জমিয়ে রাখা দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে সুখী সংসারের স্বপ্ন দেখছিলেন, সেই স্বপ্ন একদিন হঠাৎই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁর সঞ্চিত অর্থ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ভেঙে ফেলে। বনবাসী মণ্ডল জানালেন, "আমি কখনো ভাবতে পারিনি যে আমার নিজস্ব গ্রামেই এমন তাণ্ডব হবে। এই টাকা আমি কষ্ট করে জমিয়েছিলাম, যাতে ভবিষ্যতে কিছু ভালো করতে পারি। কিন্তু এখন সব কিছু হারিয়ে মালদার ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছি।"
বনবাসী মণ্ডল ও তার পরিবারের সদস্যরা গত সাত-আট বছর ধরে ঋণ নিয়ে বাড়ির জিনিসপত্র কিনেছিলেন। সেগুলিও এখন নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি এখন অনিশ্চিত যে কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এই পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বনবাসী। ত্রাণশিবিরে আশ্রিত এই পরিবারগুলির মধ্যে অনেকেই আশায় দিন কাটাচ্ছেন, তবে সমস্যার সমাধান হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/12/hSEhh467kBV9k1maI0gT.jpg)
মালদার বৈষ্ণবনগরের স্কুলে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক এবং শোকের ছাপ স্পষ্ট। তাঁদের মধ্যে একটাই প্রশ্ন—কবে তাঁরা তাঁদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন?