নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সিবিআই তদন্তে বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ২০০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্গ ব্যবসার নেক্সাসের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এমনই এবার টুইট করে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিলেন বিজেপির মিডিয়া সেলের মুখপাত্র অমিত মালব্য।
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মালব্য বলেন, ডাঃ সন্দীপ ঘোষ, আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, যাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মরিয়াভাবে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন, তিনি নেক্সাসের প্রধান সমন্বয়কারী, যা ইতিমধ্যেই মানুষ জেনে গিয়েছে।
সন্দীপ ঘোষ এবং তার সঙ্গীরা কী করেছে? তা আবিষ্কার করার কারণেই কি তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ঘোষকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলেন? যেহেতু তিনি নিজেও একজন সুবিধাভোগী তাই কি এই সব ঘটছিল সম্পূর্ণ তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায়?
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিশ্চয়ই জানা উচিত সম্পূর্ণ বিষয়। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে তিনি অযোগ্য এবং অবিলম্বে তাঁর অপসারণ করা উচিত। সিবিআইকে অবশ্যই আরজি কর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে এই তিন ডাক্তারের উপস্থিতি নিয়ে তদন্ত করতে হবে, যে রাতে অপরাধটি ঘটেছিল সেই রাতে এই তিনজনের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।
১ ডক্টর সৌত্রিক রায়, প্রভাবশালী TMC নেতা এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ সুশান্ত রায়ের ছেলে
২ ডঃ অভিক দে, টিএমসিপি নেতা এবং পিজিটি ডাক্তার, যিনি পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মেডিকেল কলেজে ডিএমই, অধ্যক্ষ এবং ডাক্তারদের নিয়োগকে প্রভাবিত করতেন, পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতেন এবং পরীক্ষার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে গিয়ে ধরাও পড়েছিলেন।
৩ ডঃ সৌরভ পাল, আরেক TMCP নেতা এবং প্রাক্তন RG Kar MCH অধ্যক্ষ ডঃ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন।
এই তিন জন ঘটনার দিন কি করছিলেন তা সিবিআইকে তদন্ত করে দেখতে হবে।
CBI probe in the RG Kar Medical College & Hospital hints at over 200 crore rupee organ trade nexus in Bengal Medical Colleges. Dr Sandip Ghosh, the former Principal of RG Kar Medical College & Hospital, who Mamata Banerjee desperately wanted to protect, is the chief coordinator… pic.twitter.com/g6BvMrRfHa