নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে যে চিত্র দেখতে পাওয়া গিয়েছিল, কার্যত সেই চিত্র ভাঙড়ের শোনপুরে। ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদের আঁচ এবার এসে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। মঙ্গলবার উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ভাঙড়ের শোনপুর বাজার এলাকায়, যেখানে এক বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। আক্রান্ত হন একাধিক পুলিশ আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি, এমনকি কয়েকটিতে অগ্নিসংযোগও করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এ দিন সকাল থেকেই বাসন্তী হাইওয়ের কাছে শোনপুর বাজারে নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছিল। দুপুরের পর বিক্ষোভ হঠাৎই উত্তেজনায় রূপ নেয়। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের একাংশ রাস্তা অবরোধ করে পুলিশের উপর ইট-পাথর ছুড়তে শুরু করে। এরপরই শুরু হয় ভাঙচুর—দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে একাধিক বাইক ও পুলিশের ভ্যান।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/14/f1yiU33eD782e04xtFyE.jpg)
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় RAF ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, “আমাদের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে ISF-এর বিরুদ্ধে। দাবি, পরিস্থিতি পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক ও ISF নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর পাল্টা দাবি, “আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৃণমূল ষড়যন্ত্র করছে।”
এদিকে, ভাঙড় ছাড়াও ওয়াকফ আইন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মৌলালির রামলিলা ময়দানেও, যেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে।