নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০২২ সালের গোড়ায় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। সেই সময় অনেকেই দাবি তুলেছিলেন, সৌরভের কলকাঠিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় সৌরভ বিসিসিআইয়ের সভাপতি। এরপর থেকে একটা তিক্ততার সম্পর্ক রয়েছে ভারতের হয়ে খেলা এই দুই প্রাক্তন অধিনায়কের মধ্যে। তবে সম্প্রতি দাদাগিরি খেলার সময় তা নিজের ঘাড় থেকে সম্পূর্ণ ঝেরে ফেললেন দাদা। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বিরাট ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ায় কোনও হাতই তার ছিল না।
দাদাগিরি খেলতে এসেছিল সম্প্রতি আলোর কোলে টিম। আর সেখানেই স্বীকৃতির সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে সৌরভকে বলতে শোনা যায়, ‘ আমি সত্যিই বিরাট কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরাইনি। যদিও অনেকেই তেমনটা মনে করেন। ’‘বিরাট কোহলি টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে আর ক্যাপ্টেন্সি করতে চায়নি, তারপর আমি তাকে বলি তুমি যখন টি টোয়েন্টি ক্রিকেট করবে না, তখন হোয়াইট বলটাও ছেড়ে দাও। একজন হোয়াইট বল আর আরেকজন রেড বল ক্যাপ্টেন হোক।’, এরপর আরও বলেন, ‘হ্যাঁ রোহিতকে ক্যাপ্টেন করার ক্ষেত্রে আমার কিছুটা চাপ ছিল। ও সব ফরম্যাটে অধিনায়ত হত চইছিল না। তাই কিছুটা হয়তো হাত আছে। মনে রাখবে যে যত বড়ই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হোক, মাঠে ভালো খেলে খেলোয়াড়রাই। ’
২০২২ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পরে আর কোনও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দেখা যায়নি বিরাটকে। এমনকী বিশ্বকাপের পরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বিশ্রাম চেয়ে নিয়েছেন বলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তরফে জানানো হয়েছে। সেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরাটের দাদা। তাঁকে এক অনুষ্ঠানে বলতে শোনা যায়, ‘বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার কয়েকদিনের মধ্যেই একই দলের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ছিল। বিশ্বকাপের চাপ সামলে এই সিরিজ খেলা সহজ নয়। তাঁরা (বিরাট আর রোহিত শর্মা) বিশ্রাম নিয়ে ঠিকই করেছেন, আশা করছি তরতাজা হয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লাল বলের ক্রিকেটে দু'জনে ফিরবেন।’ তবে আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরাট এবং রোহিত খেলবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁরা নিজেরা কিছু জানাননি। বোর্ডের তরফেও ধোঁয়াশা বজায় রাখা হয়েছে।
তবে সৌরভ ব্যাপারটা সহজ করার চেষ্টা করলেও মানতে নারাজ বিরাট-ভক্তরা। তাঁরাই খুঁজে বের করেছিলেন, ইনস্টাগ্রামে বিরাট আর সৌরভকে ফলো করছেন না। এমনকী সৌরভের ফলো করার তালিকাতেও নাম নেই আর বিরাটের। সৌরভ একসময় জানিয়েছিলেন, বিরাটকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়তে তিনি নিজে বারণ করেছিলেন। অথচ বিরাট দাবি করেন যে, বোর্ডের কেউই আপত্তি করেনি। উল্টে বিরাটকে নাকি নেতৃত্ব ছাড়তে সেইসময় উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল।