নিজস্ব প্রতিনিধি: অনলাইনে লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার এক বাসিন্দার সঙ্গে। অনলাইনে আল খাবির বাইতুল মাল নামক মহারাষ্ট্রের একটি ব্যাংক সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাড দিয়েছিল যাতে বলা হয়, ব্যাংকের ফিস বাবদ ছাড়া আর কোন সুদ দিতে হবে না। কারণ মুসলমান ধর্মে সুদ খাওয়া হারাম রয়েছে। এইরকম সোশ্যাল মিডিয়া এডভারটাইজ দেখে কাঁথির এক ব্যবসায়ী তাতে আবেদন করেন। আবেদনের সাড়া দিয়ে অনলাইনে ডকুমেন্টস পাঠাতে বলা হয়। তারপর যথারীতি ডকুমেন্টস পাঠানো হলে প্রতারকরা প্রথমে ব্যাংক সার্ভিসিং চার্জ বাবদ টাকা চায়। সেই টাকা ব্যবসায়ী পেমেন্ট করার পর আবার লনের জিএসটি বাবদ মোটা অংকের টাকা চাওয়া হয়।
সেই টাকা পেমেন্ট করার পর বলা হয় আপনার লোন এপপ্রুভ হয়ে গেছে। এগ্রিমেন্ট বাবদ আপনাকে ভারী একটা এমাউন্ট দিতে হবে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কথা মত সেই ব্যবসায়ী তাদের টাকা দিয়ে দেন। তারপর আবার নতুন করে বারংবার টাকা চাইতে থাকে কতৃপক্ষ। ব্যবসায়ীর সন্দেহ হয় তাতে। তারপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষরা বিশ্বাস জাগানোর জন্য তাদের আই কার্ড ও অফিসের ভিডিও ফুটেজ পাঠায়। তাতেও ব্যবসায়ীকে বিশ্বাস জাগাতে পারিনি। কারণ ব্যবসায়ী জানতে পেরেছেন উনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। প্রতারণার কথা উনি জানতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে কাঁথি থানার সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও আল-খবির বাইতুল মাল ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ এখনো সেই ব্যবসায়ীকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। তবে আবেদনের ভিত্তিতে কাঁথি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও ব্যবসায়ী বলেন, "এখন নতুনভাবে অভিনব কায়দায় প্রতারকরা নতুন কৌশলে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এখন দেখার বিষয় কবে প্রশাসন এই প্রতারকদের গ্রেফতার করবে"।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .