নিজস্ব সংবাদদাতা : পশ্চিমবঙ্গের নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে সিপিএমের আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে। এই আসনটি, যা এক সময় সিপিএমের ঘাঁটি ছিল, এবার লিবারেশন এবং নকশালদের জোটের কারণে বিজেপি এবং তৃণমূলের কাছ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পায়। রাজ্যে যখন আরজি-কর-কাণ্ড এবং বিক্ষোভ আন্দোলন তুঙ্গে, তখন নৈহাটির উপনির্বাচনটি রাজনৈতিক মহলে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
/anm-bengali/media/media_files/2024/11/23/1000109727.jpg)
সিপিএম মহারাষ্ট্রের মতো বিপর্যয়ের পর আশাবাদী ছিল, কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না করেও তারা একাই লড়াইয়ের পথ বেছে নেয়। সিপিএম তাদের প্রার্থী হিসেবে দেবজ্যোতি মজুমদারকে মাঠে নামায়। তবে, এই জোটের প্রতি জনতার আগ্রহ ছিল কম। সিপিএমের ওপর থেকে মানুষের আস্থা নেমে আসতে থাকে, বিশেষ করে নকশালদের প্রতি তাদের সমর্থন কমে যাওয়ায়।
/anm-bengali/media/media_files/bncUX5XaeKgsLnnmkNIn.webp)
অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সনৎ দে, যিনি ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন, প্রায় ৭৮,৭৭২ ভোট পেয়ে বিশাল জয় লাভ করেন। বিজেপির প্রার্থী ২৯,৪৯৫ ভোট পেয়েছেন, যা সিপিএমের প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের তুলনায় অনেক বেশি। সিপিএমের দেবজ্যোতি মজুমদার মাত্র ৭,৫৯৩ ভোট পেয়ে মুখ থুবড়ে পড়েন, যা প্রমাণ করে জনতা তাদের পছন্দের জন্য সিপিএম ও নকশালদের জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
/anm-bengali/media/post_banners/OnhlXeNF72CDjLX4OrIJ.jpg)
এই ফলাফল সিপিএমের জন্য বড় ধাক্কা, কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে নৈহাটির আসনটি ধরে রেখেছিল। তৃণমূলের জয় এবং বিজেপির কিছুটা শক্তিশালী অবস্থান নৈহাটির নির্বাচনে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জনগণের মতামতের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।