নিজস্ব সংবাদদাতা: জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের প্রায় ৯৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। অনশনের ৯৪ ঘণ্টার মাথায় জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে সরকারের কাছ থেকে বার্তা গেল। বুধবার সন্ধেয় ইমেল পাঠিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকে বসার জন্য আহ্বান জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ৭ টা ৪৫ মিনিটে জুনিয়র ডাক্তারদের ১০-১২ জন প্রতিনিধিদের স্বাস্থ্যভবনে যেতে বলা হয়েছে। সেই ডাকে সাড়া দিচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা বলে জানা গিয়েছে।
উৎসবের শহরে প্রতিবাদের ভাষা যেন জোরালো হচ্ছে। একদিকে মহা ষষ্ঠীর দিন চিকিৎসক ও নার্সদের তিনটে সংগঠন সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করেন। অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা অভয়ার প্রতীকী মূর্তি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা পুজো পরিক্রমা করতে বেরিয়েছেন। যার জেরে বার বার পুলিশের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা বচসায় জড়িয়ে পড়েছেন। এক্ষেত্রে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ রয়েছেন। অন্যদিকে, অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বাবা-মা, পরিবারের সদস্যরা আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
ষষ্ঠীর দিন অনশন মঞ্চে একাধিক দৃশ্য দেখতে পাওয়া গিয়েছে। অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের রক্তচাপ ও শর্করার পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। ষষ্ঠীর দিন রক্তের সম্পর্ক নেই এমন অনেক সাধারণ মানুষকে আসতে দেখা গিয়েছে অনশন মঞ্চের কাছে। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থা দেখে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে আসা সকলের চোখ ভিজতে শুরু করেছে। হুইলচেয়ার করে তাঁদের সুলভে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনশনকারীদের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়েই কেঁদে ফেলছেন সাধারণ মানুষ। একজন বলেন, ওরা তো আমার সন্তানের মতো। আমি ওদের দেখে ভাবতেও পারছি না। ওদের মধ্যে অনেকেই অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভয় পাচ্ছি। এখনও কি সরকারের ঘুম ভাঙবে না? ” অন্য এক মহিলা বলেন, “ওদের দেখে চোখের জল আটকাতে পারছি না আমরা। সরকারের কী মনে লাগে না? বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো এভাবে পুজোর মধ্যে রাস্তায় পড়ে রয়েছে!” পুজোর মধ্যেও অনশন মঞ্চে সাধারণ মানুষের ভিড় কমছে না।