নিজস্ব প্রতিবেদন : বিরুপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে-র বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিরুপাক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগে উল্লেখ আছে যে তিনি মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন এবং চিকিৎসক, নার্স ও শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নেওয়ার ঘটনা, যা তার সন্তানের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করার জন্য দাবি করা হয়েছিল।
তিনি বেআইনি ভাবে নীল বাতি গাড়ি ব্যবহার করতেন এবং অনুমতি ছাড়া বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ঘুরে বেড়াতেন। আরও অভিযোগ রয়েছে যে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন রোগিনীর ছবি পোস্ট করেছিলেন, যা পেশাদারিত্বের নীতির লঙ্ঘন বলে বিবেচিত।
অভীক দে-র বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে এমডি কোর্সে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং থ্রেট কালচারে সম্পৃক্ত থাকা। পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনের অভিযোগও রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের ওপর বিপরীত প্রভাব ফেলেছে।
স্বাস্থ্য দফতর কর্তৃক নিযুক্ত তদন্ত কমিটি উভয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, চিকিৎসা শিক্ষার মান এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নৈতিকতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে, যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।