নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ১৪ আগস্ট রাতে একদল দুষ্কৃতী পুলিশের উপস্থিতিতে তাণ্ডব চালায়। স্বাধীনতার মধ্যরাতে নাগরিক সমাজ রাত দখলের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায়। টালা, উল্টোডাঙা, শ্যামপুকুর থানার FIR-র ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতার হওয়া ৮৮ জনকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশনে বসেছেন। ২৪ ঘণ্টার জন্য পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আন্দোলন মঞ্চে সোমবার সকাল থেকে ১০ থেকে ১৫ জন চিকিৎসক যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি সিনিয়র চিকিৎসকরা রাজ্য সরকারকে কার্যত হুমকির সুরে জানিয়েছেন, যদি অনশনের কারণে জুনিয়র চিকিৎসকদের কারও কিছু হয়, সেক্ষেত্রে তাঁরা গণ ইস্তফা দেবেন।
অন্যদিকে, দুই দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন অব্যাহত রয়েছে। সোমবার আরও দুই জন জুনিয়র চিকিৎসক অনশনে বসেছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, পঞ্চমীতে জুনিয়র চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফে জোড়া কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে ১২ ঘণ্টার প্রতীকি অনশন করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। পাশাপাশি আগামীকাল অর্থাৎ পঞ্চমীতে মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। জুনিয়র চিকিৎসক, সিনিয়র চিকিৎসক ও স্বা্থ্যকর্মীদের তরফে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। ১০ দফা দাবি নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন ছয় জুনিয়র ডাক্তার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া তনয়া পাঁজা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় ও স্নিগ্ধা হাজরা অনশন করছেন। এসএসকেএমের ডাক্তারি পড়ুয়া অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও এনআরএসের পড়ুয়া পুলস্ত্য আচার্যও অনশনে রয়েছে। রবিবার রাতে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। সোমবার বিকেলে আরও দুই জন জুনিয়র চিকিৎস অনশনে বসেছেন।