নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও হাসিবুল ইসলাম সোমবার এ রিট দায়ের করেন।
রিট দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। তিনি বলেন, দলটি যাতে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সেজন্য রিট করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের পক্ষ থেকে দুটি রিট করা হয়েছে। একটি হল, আওয়ামী লীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে নেওয়া হবে না সে বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় পার্টিসহ ১০টি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। অন্য ৯টি রাজনৈতিক দল হল-জাসদ, জাতীয় পার্টি (জেপি), তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল।
অন্যদিকে এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদের আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সব এক্টিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে দ্বিতীয় রিট করা হয়েছে। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।
পৃথক ফেসবুক স্ট্যাটাসে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম রিটের বিষয়টি জানিয়েছেন। তারা লিখেছেন, সোমবার ২টি রিট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দেবে না সে বিষয়ে প্রথম রিট।
এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদের পলিটিক্যাল সব এক্টিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে দ্বিতীয় রিট। দল হিসেবে নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই বলে তারা উল্লেখ করেন। এর আগে আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে একটি রিট করা হয়েছিল। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি তখন খারিজ করে দিয়েছিলেন।
এদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ২৩ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বতীকালীন সরকার।