নিজস্ব সংবাদদাতা: মানবাধিকার ও সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুদণ্ড, বিশেষত প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড, ধীরে ধীরে বাতিলের দাবি উঠছে। কিন্তু তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে এখনও সেই চরম ও নির্মম শাস্তি কার্যকর করা হচ্ছে প্রকাশ্যেই। শুক্রবার আফগানিস্তানের তিনটি আলাদা প্রদেশের স্টেডিয়ামে চার জনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
এই ঘটনা ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দপ্তর এই ধরনের শাস্তিকে "মানব মর্যাদা ও জীবনের অধিকারের পরিপন্থী" বলে কড়া সমালোচনা করেছে এবং আফগান প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, এই ধরনের শাস্তির প্রথা যেন ধাপে ধাপে বন্ধ করা হয়।
/anm-bengali/media/media_files/2025/01/12/taliban-commander-malingcenter-this-unit-defectors-who-440nw-344636t.jpg)
তবে রাষ্ট্রসংঘের এই মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে আফগানিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। তাদের দাবি, এই উদ্বেগ “অন্যায্য ও বিস্ময়কর”, এবং ইসলামী আইন অনুযায়ী এই শাস্তি প্রদান বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের প্রথম দফার তালিবান শাসনামলে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড একটি সাধারণ ঘটনা ছিল। ২০২১ সালে তালিবান পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর এবারই প্রথম একদিনে এতজনের বিরুদ্ধে এমন শাস্তি কার্যকর হলো।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে।