নিজস্ব সংবাদদাতা: জঙ্গিপুরে সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিল রাজ্য পুলিশ। অভিযুক্তদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না বলে জানালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। সোমবার দুপুরে ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “দোষী যে-ই হোক, যত বড় প্রভাবশালীই হোক, কাউকে ছাড়া হবে না। প্রয়োজন হলে পাতাল থেকেও টেনে বার করা হবে।”
এই পরিস্থিতিতে গুজবই সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। জাভেদ শামিম বলেন, “শান্তি ফেরানোর পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা এখন গুজব। তাই সবাইকে অনুরোধ করছি, যাচাই না করে কোনও খবর বিশ্বাস করবেন না। কেউ গুজব ছড়ালে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
তিনি জানান, শনিবার বিকেলের পর থেকে এলাকায় আর কোনও বড় অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে জঙ্গিপুরে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। প্রশাসনের তরফে জনজীবন স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিছু দোকানপাট ইতিমধ্যেই খুলে গেছে। মানুষের আস্থা ফেরাতে নানা পদক্ষেপও করা হচ্ছে।
ঘরছাড়া মানুষদের প্রসঙ্গে তিনি জানান, “যাঁরা পরিস্থিতির জেরে এলাকা ছেড়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৯ জন ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন। বাকিদেরও ফিরিয়ে আনতে মালদা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ চলছে।”
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/12/6venJMUyBYROetjRQIuG.JPG)
গুজব ঠেকাতেই বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান এডিজি। যদিও চারদিকে ছড়িয়ে থাকা মোবাইল টাওয়ারের মাধ্যমে এখনও গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। সেই কারণে মালদা ও বীরভূমের কিছু অংশেও ইন্টারনেট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করেন, “নতুন করে কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি। শুধুমাত্র গুজব ঠেকাতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এডিজি আরও জানান, এখনও পর্যন্ত ২০০-র বেশি গ্রেফতার হয়েছে। প্রতিটি স্বতঃপ্রণোদিত FIR নথিভুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ অভিযোগ জানালে সেটিও গ্রহণ করা হবে। তাঁর কথায়, “প্রথম দিন থেকেই বলেছি—আসল দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কাউকে রেয়াত করব না। আইনের চোখে সকলেই সমান।”
দোষী যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, কাউকে ছাড়া হবে না! তীব্র হুঙ্কার জাভেদ শামিমের
রাজ্য পুলিশের এডিজি জাভেদ শামিম মুর্শিদাবাদ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা: জঙ্গিপুরে সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিল রাজ্য পুলিশ। অভিযুক্তদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না বলে জানালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। সোমবার দুপুরে ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “দোষী যে-ই হোক, যত বড় প্রভাবশালীই হোক, কাউকে ছাড়া হবে না। প্রয়োজন হলে পাতাল থেকেও টেনে বার করা হবে।”
এই পরিস্থিতিতে গুজবই সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। জাভেদ শামিম বলেন, “শান্তি ফেরানোর পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা এখন গুজব। তাই সবাইকে অনুরোধ করছি, যাচাই না করে কোনও খবর বিশ্বাস করবেন না। কেউ গুজব ছড়ালে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
তিনি জানান, শনিবার বিকেলের পর থেকে এলাকায় আর কোনও বড় অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে জঙ্গিপুরে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। প্রশাসনের তরফে জনজীবন স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিছু দোকানপাট ইতিমধ্যেই খুলে গেছে। মানুষের আস্থা ফেরাতে নানা পদক্ষেপও করা হচ্ছে।
ঘরছাড়া মানুষদের প্রসঙ্গে তিনি জানান, “যাঁরা পরিস্থিতির জেরে এলাকা ছেড়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৯ জন ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন। বাকিদেরও ফিরিয়ে আনতে মালদা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ চলছে।”
গুজব ঠেকাতেই বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান এডিজি। যদিও চারদিকে ছড়িয়ে থাকা মোবাইল টাওয়ারের মাধ্যমে এখনও গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। সেই কারণে মালদা ও বীরভূমের কিছু অংশেও ইন্টারনেট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করেন, “নতুন করে কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি। শুধুমাত্র গুজব ঠেকাতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এডিজি আরও জানান, এখনও পর্যন্ত ২০০-র বেশি গ্রেফতার হয়েছে। প্রতিটি স্বতঃপ্রণোদিত FIR নথিভুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ অভিযোগ জানালে সেটিও গ্রহণ করা হবে। তাঁর কথায়, “প্রথম দিন থেকেই বলেছি—আসল দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কাউকে রেয়াত করব না। আইনের চোখে সকলেই সমান।”