নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ৪ অক্টোবর দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে এক চতুর্থ শ্রেণির নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। ওইদিন রাতেই গ্রেফতার করা হয় মুস্তাকিনকে। ঘটনাটি আরজি কর কাণ্ডের উত্তেজনার মধ্যে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে হিমসিম খেতে হয়।
তদন্তের জন্য একটি বিশেষ টিম (সিট) গঠন করা হয়। ৩০ অক্টোবর বারুইপুর পকসো আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। ৫ ডিসেম্বর মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং পরদিন ৬ ডিসেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আদালতে সাজা ঘোষণার সময় মুস্তাকিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এবার তিনি হাইকোর্টে অভিযোগ করেছেন, তার বক্তব্য যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়নি এবং বিচার প্রক্রিয়া তাড়াহুড়ো করে শেষ করা হয়েছে।
এদিকে, আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে রাজ্য সরকার এবং সিবিআই শিয়ালদহ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছে। একই সময়ে, কুলতলির ধর্ষণ-খুন মামলায় মুস্তাকিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।