হরি ঘোষ, দুর্গাপুর: চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী চাকরি হারালেন, তাই জেমুয়া ভাদুবালা স্কুলের তালা খোলার আর ঘণ্টা বাজানোর দায়িত্ব পেলেন খোদ 'হেডমাস্টার মশাই'। চোখে জল পড়ুয়াদের, কাঁদছেন নেপালিপাড়া হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। হাহাকার চিত্র দুর্গাপুরের দুটি স্কুলে। সকলেরই কাতর আর্জি ফিরিয়ে দেওয়া হোক স্কুলের শিক্ষকদের চাকরি।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয় ২০১৬-র এসএসসি প্যানেল। চাকরি হারায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। অযোগ্যদের সাথে যোগ্যরাও চাকরি হারানোই হাহাকার রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে। দুর্গাপুরের নেপালি পাড়া হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরি হারিয়েছে ৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং তিনজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী। দুর্গাপুরে জেমুয়া ভাদু বালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ১ জন তৃতীয় শ্রেণীর(গ্রুপ সি) কর্মী আর ১ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী(গ্রুপ ডি) কাজ হারান।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/04/rsKiuVhXb2Kqb4bCACzw.jpeg)
জেমুয়া ভাদুবালা উচ্চবিদ্যালয়ের একমাত্র চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী কাজ হারানোই আজ আর ঘণ্টা বাজানোর আর তালা খোলার লোক নেই। তাই এই দুটি কাজেরই দায়িত্ব নিলেন প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক।
অন্যদিকে, নেপালি পাড়া হিন্দি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডা.কলিমুল হক কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আগামী শনিবার ছিল স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান। কিন্তু এই পরিস্থিতির জন্য আমরা অনুষ্ঠানও বন্ধ করলাম। আমাদের সকলেরই মন ভারাক্রান্ত। ক্লাস বন্ধ নেই। বিএড কলেজের ১০ জন পড়ুয়া দিয়ে শিক্ষক সংকট পূরণ করা হয়েছে। কিন্তু যারা যোগ্য শিক্ষক তাদের চাকরি হারাতে হল”।