নিজস্ব সংবাদদাতা: এডিস মশা ডেঙ্গু রোগের প্রধান বাহক। পশ্চিমবঙ্গে, রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের জীবনচক্র বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মশাগুলি উষ্ণ, আর্দ্র আবহাওয়ায় বিকশিত হয় এবং স্থবির জলে প্রজনন করে। তাদের জীবনচক্র চারটি পর্যায়ে বিভক্ত: ডিম, লার্ভা, পিউপা এবং প্রাপ্তবয়স্ক।
ডিম পর্যায় শুরু হয় যখন স্ত্রী মশা জলের কাছে আর্দ্র পৃষ্ঠে ডিম পাড়ে। এই ডিমগুলি শুষ্ক অবস্থায় মাসের পর মাস বেঁচে থাকতে পারে। জলে ডুবে গেলে, দুই দিনের মধ্যে লার্ভা হিসেবে বের হয়। লার্ভা পর্যায় প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়, যার সময় তারা জৈব পদার্থ খায়।
লার্ভা পর্যায়ের পরে, মশাগুলি পিউপা পর্যায়ে প্রবেশ করে। এই পর্যায়টি দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হয়। এই সময় তারা খাবার গ্রহণ করে না কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের রূপান্তরে যায়। প্রাপ্তবয়স্ক মশা পিউপা থেকে বেরিয়ে আসে এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যে উড়তে প্রস্তুত হয়।
প্রাপ্তবয়স্ক এডিস মশা সকালের প্রথম প্রহরে এবং বিকেলের শেষ প্রহরে সবচেয়ে সক্রিয় থাকে। তারা পশুদের চেয়ে মানুষকে কামড়ানো পছন্দ করে এবং কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়াতে পারে। তাদের আচরণ বুঝতে পারলে কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা সহজ হয়।
মশার সংখ্যা কমাতে, স্থবির জল অপসারণ করে প্রজননস্থল দূর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিতভাবে পাত্র পরিষ্কার করা এবং কীটনাশক ব্যবহার করে মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
জনসাধারণের সচেতনতা অভিযান ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই রোগের ছড়িয়ে পড়া কমাতে সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।