নিজস্ব সংবাদদাতা: ৭ আগস্ট ২০২৩ সালে ইজরায়েলের ওপর হামলা করে হামাস। তারপর থেকে ক্রমাগত ইজরায়েল গাজার ওপর হামলা করে যায়। তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল ওই হামালায় হামাসের মাস্টারমাইন্ডকে খুঁজে বার করা। অবশেষে ইজরায়েলের ড্রোন হামলায় হামাসের প্রধান তথা ইজরায়েলের হামলার মাস্টারমাইন্ড নিহত হয়। একাধিকবার হামাস প্রধানের খবর পেলেও, বার বার জঙ্গি নেতা তাঁর ঠিকানা বদল করেন।
জানা যায়, এই হামাস নেতা ইজরায়েলের হামলা শুরুর পর খুব কম সময়ের জন্যই ওপরে এসেছেন। বেশিরভাগ সময় আন্ডার গ্রাউন্ড থাকতেন। পাশাপাশি জানা যায় যে তিনি কোনও ধরনের বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহার করতেন না. এমনকী ফোনও ব্যবহার করতেন না। তিনি চিরকুটের মাধ্যমে নির্দেশ পাঠাতেন।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ গাজার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে অনুসরণ করেন। তারা হামাসের সদস্য ছিল। এবং হামাসে অংশগ্রহণকারী নতুন সদস্যদের তারা প্রশিক্ষণ দিত। ওই ব্যক্তিদের একটি ফাঁকা ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া অট্টালিকায় যেতে দেখেন। সেখানে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা করলে হামাস প্রধান নিহত হন। জানা যায়, ড্রোন হামলার পাশাপাশি সেই ভবনে গুলির লড়াই চলে। গুলি বিনিময় শেষ হওয়ার পরের দিন সকালে সেনারা ধ্বংসস্তুপ পরিদর্শন করতে ফিরে আসার পরেই তারা বুঝতে পারে যে একটি মৃতদেহ সিনওয়ারের।
ইজরায়েল ও মার্কিন সেনারা দীর্ঘদিন ধরে হামাসকে ট্র্যাক করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তিনি সেল ফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক যে কোনও ব্যস্তু ব্যবহার হামাস প্রধান বন্ধ করে দিয়েছিল। এবং ঘন ঘন নিজের আস্তানা পাল্টাতো। যার জেরে তাঁকে নিশানা করা কঠিন হয়ে উঠেছিল। জানা যায় কাগজে নির্দেশ লিখে পাঠাতেন। তার প্রতিক্রিয়া আসার জন্য সপ্তাখানেক অপেক্ষা করত। তারপরেই নিজের জায়গা পরিবর্তন করতো।