'হোমিওপ্যাথি'তেও এবার থ্রেট কালচার! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাজ্যের হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে দুর্নীতি ও থ্রেট কালচারের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা। ছাত্রদের নিরাপত্তা এবং শিক্ষার পরিবেশ সংকটাপন্ন, প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
Threat culture

নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচার সত্যিই alarming পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে, এমবিবিএস ও হোমিওপ্যাথি কলেজে পড়ুয়াদের ওপর চাপ ও হুমকি বৃদ্ধির অভিযোগ প্রমাণ করে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ও নৈতিকতার প্রশ্ন উঠছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট হোমিওপ্যাথি ফ্রন্টের অভিযোগগুলি যদি সত্যি হয়, তবে এটি শুধুমাত্র শিক্ষার পরিবেশকেই নয়, বরং ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যকরী করা।

publive-image

হোম সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগগুলো সত্যিই গুরুতর। ফয়জুল হক এবং কৌস্তভ রায়ের কথায় স্পষ্ট, মেডিক্যাল কলেজগুলোতে থ্রেট কালচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। কলেজে আসার ওপর হুমকি দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, একটি সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের উচিত দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ এবং সুষ্ঠু পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে।

publive-image

রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালে থ্রেট কালচারের অভিযোগ সত্যিই উদ্বেগজনক। কৌস্তভ রায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ছাত্র নেতাদের দ্বারা হুমকি এবং অর্থ চাওয়ার ঘটনা একের পর এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। হোমিওপ্যাথি এবং ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এবং মধ্যরাতে ফোন করে ভয় দেখানোর মতো ঘটনা, কলেজের পরিবেশকে বিপর্যস্ত করছে। ফয়জুল হকের অভিযোগ অনুযায়ী, ডক্টর অরিজিৎ মান্না একজন প্রধান হুমকিদাতা হিসেবে উঠে আসছেন, যিনি কলেজের জুনিয়র ডাক্তার এবং ছাত্রদের নিয়মিত হুমকি দেন। এই থ্রেট কালচার শুধু ব্যক্তিগত স্তরে সীমাবদ্ধ নয়, বরং গোটা হোমিওপ্যাথি সিস্টেমকে প্রভাবিত করছে।

Rg kar protest

হোম সেন্টারে পরীক্ষা নিয়ে উঠছে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ। মনসুর হাবিবুরউল্লা গাজির বক্তব্য অনুযায়ী, পরীক্ষার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণকারী 'দাদা'দের উপস্থিতি পুরো পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে, যা স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার অভাব নির্দেশ করে। এ ধরনের পরিস্থিতি শিক্ষার মান এবং ছাত্রদের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে দুর্নীতির অভিযোগগুলো ক্ষেত্রে অখিলেশ খাঁর মন্তব্য অনুযায়ী, ডিরেক্টর পোস্টের ইন্টারভিউতে একজন রিটায়ার্ড প্রিন্সিপ্যালের উপস্থিতি বিষয়টি প্রশ্নের সৃষ্টি করে। এই ধরনের অনিয়মের ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা বিঘ্নিত হচ্ছে। অন্যদিকে, শ্য়ামলকুমার মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হলেও, সমস্যা পরিষ্কার। থ্রেট কালচারের প্রবণতা গভীরে ঢুকে পড়েছে এবং এর মূল হোতারা কারা, সেটি উন্মোচন করা প্রয়োজন।