নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি করে তরুণী চিকিৎসক হত্যার ঘটনার পর থেকে একের পর এক ভয়ানক অভিযোগ সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, আগে এই হাসপাতালের মধ্যেই ছিল ফটোকপি সেন্টার। যেখান থেকে ডাক্তারি পড়ুয়ারা সুলভে বই, নোট, নথিপত্র জেরক্স করাতে পারতেন। কিন্তু হঠাৎই একদিন সেই ঘর পাল্টে যায়। আর সেটি হয়ে যায় টিএমসিপি’র ইউনিট অফিস। এই ঘটনায় জড়িয়েছিল তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের। এবার বিষয়টি নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় আরজি কর কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল থেকে সাত দিনের মধ্যে টিএমসিপির অফিস সরিয়ে ফেলত হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরজি কর কর্তৃপক্ষ আভ্যন্তরীণ বৈঠক করে। সেখানে টিএমসিপি’কে একসপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ওই অফিস সরিয়ে ফেলতে হবে। সেটা না হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর এই ছাত্র সংগঠনের অফিস নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে আরজি কর হাসপাতালে পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করে ফটোকপি সেন্টার খোলা হয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, এক বছর আগে ওই ঘরটি জোর করে খালি করে দেন সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ আশিস পাণ্ডে, অভিষেক সেন–সহ থ্রেট সিন্ডিকেটের সদস্যরা। তখন ওই ঘরের দখল নিয়ে টিএমসিপি ইউনিটের অফিস তৈরি করা হয়।