নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৯৯৯ সাল কারগিল, দ্রাস, বাটালিক, পুঞ্জ সেক্টরে বেজে উঠেছিল যুদ্ধের দামামা। যা কারগিল যুদ্ধ নামেই খ্যাত। বিপদ সংকুল কারগিল উপত্যকায় ঢুকে পড়েছিল অনুপ্রবেশকারীরা। শুরু হয়েছিল যুদ্ধ। ভারত মাতার বীর সন্তানেরা বুক দিয়ে আগলে রক্ষা করেছিল অসুররূপী শত্রুদের হাত থেকে কার্গিল উপত্যকাকে। যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন বহু ভারত মাতার বীর সন্তান। আজ সেই বীরত্বের কাহিনী চর্চিত হয় সর্বদা। তাদের বীরত্বের গৌরবান্বিত স্মৃতি নিয়ে কারগিলের বুকে দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতিসৌধ। আমাদের মনের মনিকোঠায় চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে তাদের মহা জীবনের বীর গাঁথা।
ভারতের বীর পুত্র শহীদ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা, শহীদ ক্যাপ্টেন মনোজ কুমার পান্ডে, শহীদ ক্যাপ্টেন কনাদ ভট্টাচার্য সহ বহু বীর শহীদ। এই ঐতিহাসিক যুদ্ধে বিশেষভাবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে একটি নাম আমাদের এই বাংলার বীর শহীদ ক্যাপ্টেন কনাদ ভট্টাচার্য। ক্যাপ্টেন কনাদ ভট্টাচার্য এই টালা অঞ্চলেরই বীর পুত্র। টালা ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবের সঙ্গে আন্তরিকভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। এই ক্লাব থেকেই কনাদ ওরফে এলাকার প্রিয় ছেলে বাবু ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়েছিলেন।
১৯৯৯ সালের ২১ শে মে কারগিল উপত্যকার টাইগার হিলকে শত্রু বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে শহীদ হয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কনাদ ভট্টাচার্য। টালা অঞ্চলের সকলের প্রিয় বাবু ওরফে কনাদ ভট্টাচার্যের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এ বছরের পুজোর আবহ ‘কারগিল ওয়ার মেমোরিয়াল’। তাঁর নামে রয়েছে এলাকার গ্রন্থাগার। তাঁর স্মৃতিতে সারা বছর এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। দেশ মাতৃকার সম্মান রক্ষায় অসুররূপী শত্রু বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহীদ হয়েছিলেন কনাদ। তার প্রতি আন্তরিক ও প্রণত নিবেদন টালা ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের থিম "কনাদ কনায় বিজয় ধ্বজা"।