নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার মায়ানমারে আঘাত হানা ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে সেখানকার বহু ঐতিহাসিক স্থাপত্যই উল্লেখযোগ্য ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তর মধ্যে রয়েছে প্রসিদ্ধ মান্দালয় রাজপ্রাসাদ, যা মায়ানমারের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে।
মায়ানমারের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, মান্দালয় রাজপ্রাসাদের চারপাশের প্রাচীরের বিশাল অংশে বড় ফাটল এবং ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। শেষ বার্মিজ রাজবংশের অন্যতম স্থাপনা হিসেবে পরিচিত এই প্রাসাদটি রাজা মিন্ডন ১৮৫৭ থেকে ১৮৫৯ সালের মধ্যে নির্মাণ করেন। বহু বছর ধরে এটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলেও, ভূমিকম্পের ধ্বংসাত্মক কম্পনে এই স্থানটির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/29/P9GMqnJj1UFVPXWcBRcL.jpg)
বিশ্ববিখ্যাত ভূকম্পবিদ জেমস জ্যাকসন একে "Great knife cut into the Earth" বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, ভূমিকম্পের সময় শক্তিশালী ফাটল সৃষ্টি হয় যা এক মিনিট ধরে স্থায়ী ছিল এবং প্রতি সেকেন্ডে প্রায় দুই কিলোমিটার গতিতে ছড়িয়ে পড়ে।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, এটি ঠিক যেন কাগজের টুকরো কেটে ফেলার মতো একটি প্রক্রিয়া ছিল, যা বড় ধরনের ভূমি একের পর এক কেটে গেছে। অর্থাৎ ভেঙে চুরমার হয়েছে একাধিক ভূমি বা স্থাপত্য।
ভূমিকম্পের ফলে সাগাইং, মান্দালয় ও রাজধানী নেপিদোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যগুলোর ক্ষতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সম্পত্তিরও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মারাত্মক। মায়ানমার সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।