নিজস্ব সংবাদদাতা: নবরাত্রির আজ সপ্তম দিন। নবরাত্রির সপ্তম দিনে মা কালরাত্রির পূজা করা হয়। মা কালরাত্রির রূপের এক অভিনবত্ব আছে। শক্তির দেবী হিসেবেও আজ আরাধনা করা হয় মাতা কালরাত্রিকে।
দেবীর ভয়ঙ্কর রূপের কারণেই কালরাত্রি বলা হয়। শাস্ত্র মতে, দেবীর গায়ের রঙ অন্ধকারের মত নিকষ কালো হয়ে থাকে। হিন্দু আচার রীতি মেনে কালরাত্রির পুজো করা হলে অকালের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়। এমনকি দেবীর এই ভয়ঙ্কর রূপকে আরাধনা করা হলে কালের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কালরাত্রির পুজো করলে অকাল মৃত্যু হয় না। নেতিবাচক শক্তি ও গুপ্ত শত্রুদের থেকেও রক্ষা পাওয়া যায় নিমেষের মধ্যে।
সাধারণত দেবী কালরাত্রি হলেন দেবী দুর্গার নবরূপের সপ্তম রূপ। তাই সপ্তমীতে এই দেবীর আবির্ভাব হয় ও পুজো করা হয়। দেবী কালরাত্রিকে মহাকালী, ভদ্রকালী ও ভৈরবী নামেও পরিচিত। তন্ত্র সাধনায় সিদ্ধি লাভ করতে চাইলে দেবী দুর্গার এই রূপের পুজো করা উচিত। কথিত আছে, দেবী কালরাত্রিকে যদি পূর্ণ ভক্তিভরে পুজো করা হয়, তাহলে তিনি কখনও নিরাশ করেন না। গোপন শত্রুদের বিনাশ করার জন্য এই দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে।
আর তাই এদিন সকাল থেকেই মন্দিরে মন্দিরে ভিড় জমেছে মাতা কাররাত্রির আরাধনার জন্যে। দিল্লির ছতরপুরের শ্রী আধ্যা কাত্যায়নী শক্তিপীঠ মন্দিরে আরতি করা হচ্ছে মাতা কালরাত্রির। ভক্তদেরও ঢল পড়েছে দেখার মতো।