নিজস্ব সংবাদদাতা: জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সামনে এসে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান। নাবালিকার বান্ধবী, যে টিউশন থেকে নাবালিকার সঙ্গেই ফিরছিলেন। নাবালিকার সঙ্গেই তার বান্ধবী রোজ টিউশন থেকে ফেরেন। সেদিন বান্ধবীকে তার বাবা টিউশনে দিয়ে এসেছিল। কিন্তু ফেরার সময় নাবালিকা ও তাঁর বান্ধবী একসঙ্গে ফিরছিলেন। ফেরার সময় নাবালিকার বান্ধবী একটি দোকানে কেনাকেটা করতে ঢোকে। সেই সময় নাবালিকা এগিয়ে যায়। বান্ধবী বলে, নির্যাতিতা তাকে ইশারায় এগিয়ে যেতে বলে। এরপর অভিযুক্ত যুবকের সাইকেলে উঠে নির্যাতিতা চলে যায়। অভিযুক্তের সঙ্গে নির্যাতিতার কোনও পূর্ব পরিচয় ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুলতলি। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, সন্ধ্যা থেকেই তাঁদের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শুরু থেকে পুলিশ গুরুত্ব দিলেন, মেয়েটার এই পরিণতি হতো না। অন্যদিকে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেনি। অন্যদিকে, হাইকোর্টে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিচারপতি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে ভর্ৎসিত হয় পুলিশ। রাজ্যের তরফে বলা হয় কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যের নেই। এই মামলায় বিচারপতি বলেন, নির্যাতিতার বয়স ১০ বছর। স্বাভাবিকভাবেই পকসো আইন যুক্ত হওয়ার কথা। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “সুরতহাল বা ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট দেখেও কেন আপনারা পকসো যুক্ত করেননি?”