নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০২২ সালের স্মৃতি এখনো কুরে কুরে খায় ডুয়ার্সের মালবাজার এলাকার বাসিন্দাদের। একটা অভিশপ্ত দশমীর রাত, মায়ের সাথে সাথে বিসর্জন হয়েছিল ৮ জন মানুষের। প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে ঘটে গিয়েছিল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তারপর থেকেই প্রশাসন নিয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।
এবারেও দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে ছিল বিশেষ সতর্কতা। প্রচুর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ভলেন্টিয়ার পুলিশ কর্মী এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের মোতায়েন করা হয়। কোনরজন ঘাটের ধারে পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। এদিন প্রায় ৫০ এর বেশি প্রতিমা ভাসান হয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই বিসর্জন পর্ব।
প্রতিটি পূজা কমিটির পাঁচজন সদস্য নদীতে নেমে প্রতিমা বিসর্জন করেছেন। ঘাট থেকে বেশ কয়েক মিটার দূরে প্রতিমা রাখার বন্দোবস্ত করা হয়। সেখান থেকে ক্রেনে করে প্রতিমা নিয়ে আসা হয় মাল নদীতে। এবারে উপরি পাওনা ছিল সন্ধ্যা আরতি। গঙ্গা আরতির ধাঁচে মাল নদীতে আরতি করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য , মাল পৌরসভার উপ পৌর প্রধান উৎপল ভাদুরী সহ মাল মহকুমা শাসক। উল্লেখ্য বছর দুই আগে ২০২২ সালে বিসর্জন চলাকালীন মাল নদীতে হঠাৎই হড়পা বান আসে। তাতে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এরপর মাল নদীতে বিসর্জনের সময় বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেন।