নিজস্ব সংবাদদাতা: পৃথিবীতে মানুষ যত উন্নত হচ্ছে, প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ছে, তত প্রাকৃতিক সম্পদের বিনষ্ট হচ্ছে। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বনাঞ্চল কমতে শুরু করেছে। এছাড়া বিশ্বে উষ্ণায়ন বিজ্ঞানীদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজ্ঞানীরা বার বার জানিয়েছেন, একটা সময় আসবে যখন পৃথিবী থেকে মানুষের অস্তিত্ব মুছে যাবে। এবার বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানালেন, ঠিক কত বছর পর পৃথিবী থেকে মানুষের অস্তিত্ব মুছে যাবে।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি)-এর বিজ্ঞানীরা জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং শক্তি ব্যবহারের মতো বিষয়গুলির উপর একাধিক তথ্য নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা চালিয়েছেন। ক্লাব অফ রোমের (Club of Rome) প্রকাশিত এই গবেষণায় আসন্ন ‘বিবর্তনের সীমা'(limits to evolution)- নামক গবেষণাপত্রটি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানেই জানানো হয়েছে, কবে মানুষের পতন হবে। সেখানে মানুষের বিনাশের একাধিক কারণ তুলে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ, খণিজ সম্পদের ব্যাপক ব্যবহার, গ্রিন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি, বিশ্ব উষ্ণায়ন, জল সঙ্কট। এছাড়াও একাধিক কারণ সেখানে উল্লেক করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় জানিয়েছেন, ২১ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে সমাজ ব্যবস্থা ও মানুষের পতন শুরু হবে। মানুষের ব্যবহারের মতো আর কিছুই পৃথিবীতে থাকবে না। এরপর একটা সময় আসবে, যখন মানুষ ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাবে। অর্থাৎ ২১ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকেই পতন শুরু হবে মানুষের। হিসেব বলছে, মানুষের পতন শুরু হতে আর মাত্র ১৭ বছর বাকি। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০৪০ সাল নাগাদ বিশ্বে সঙ্কট শুরু হবে। একাধিক প্রজাতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে তারপর থেকেই। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ঠিক কত বছর পর মানুষের অস্তিত্ব পৃথিবী থেকে একেবারে মুছে যাবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে এই বিষয়ে একটা আন্দাজ করা হয়।
বিশ্বের বিজ্ঞানীরা পৃথিবীকে বিনাশের হাত থেকে রক্ষা করতে গবেষণা করছেন। খনিজ সম্পদের ব্যবহার কমানোর জন্য একাধিক বিকল্প ব্যবস্থার পথ খোলা হয়েছে। তারমধ্যে সৌরশক্তি অন্যতম। এছাড়া বিশ্ব উষ্ণায়ন কমাতেও বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলো জোটবদ্ধ হয়েছে।