নিজস্ব প্রতিবেদন : শনিবার ওড়িশা সরকার একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে, যখন একদিনেই ১৬ হাজার জুনিয়র শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করা হলো। এই নতুন নিয়োগের মাধ্যমে ওড়িশার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক ও উচ্চ-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবেন নব-নিযুক্ত এই শিক্ষকরা।
কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি বেশ কিছু প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও। মুখ্যমন্ত্রী এই সময়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "শিক্ষকতা একটি অত্যন্ত শ্রদ্ধাপূর্ণ পেশা, এবং আগামী দিনের সমাজ গড়ার কারিগর আপনারাই।" তিনি উল্লেখ করেন যে, পূর্বে গুরুকে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের সঙ্গে তুলনা করা হত, যা শিক্ষকের গুরুত্বকে নির্দেশ করে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওড়িশা সরকার শিক্ষাখাতে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে উন্নয়নের জন্য। এই ১৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে সরকার স্কুল শিক্ষার উন্নয়নের জন্য দ্বিগুণ গতিতে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। নব-নিযুক্ত এই শিক্ষকরা আগামী দিনে ওড়িশার শিক্ষার কাঠামোকে আরও উন্নত এবং সমৃদ্ধ করবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এই বিপুল নিয়োগ স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক সহায়তা করবে। এর ফলে শিক্ষার পঠন-পাঠন আরও উন্নত হবে, এবং ওড়িশার শিশু-কিশোররা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে সক্ষম হবে।" তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ওড়িশা সরকারের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দেন এবং জানান যে ২০৩৬ সালের মধ্যে বিকশিত ওড়িশা গড়ার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও ওড়িশার বিরোধী দল বিজেডি এই নিয়োগের ব্যাপারে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে। তারা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, পূর্ববর্তী বিজেডি সরকার এই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল। তাদের দাবি, বিজেপি সরকার শুধুমাত্র নিয়োগপত্র বিতরণ করে কৃতজ্ঞতা আদায় করছে, কিন্তু এর পেছনে তাদের কোনও ভূমিকা নেই।
এই ঘটনাটি রাজ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এবং রাজনীতির এই দিকটি সামনে এনে দিয়েছে যে, শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন ও নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্বার্থের ভূমিকা কতটা। তবে, সরকারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।