নিজস্ব সংবাদদাতা: জাতি ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে, মান্দারমনির সমুদ্র উপকূলে 'মাজার পাক' গুরু আশ্রমে উদযাপিত হল ১৬তম সার্বজনীন চিস্তিয়া মিলন মেলা। যখন চারিদিকে সবাই ধর্মীয় ভেদাভেদ ও জাত পাতের বিভাজনে ব্যস্ত। সেরকমই একটি মুহূর্ত দাঁড়িয়ে সর্ব ধর্মের মানুষজনদের নিয়ে মান্দারমনি সমুদ্র উপকূলে অনুষ্ঠিত হলো- ১৬ তম সার্বজনীন চিস্তিয়া মিলন মেলা। পাঞ্জাব, মুম্বাই, হরিয়ানা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ধর্মের মানুষজন এবং ধর্ম গুরুদের নিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি, আলোচিত হলো সর্বধর্ম সমন্বয়ে সমস্ত মানুষকে কিভাবে প্রথম মানব ধর্ম পালন করতে হবে। জাত পাত ও ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠতে হবে। ১৬ বছর আগে এলাকার সর্ব ধর্মের মানুষজনদের নিয়ে চিস্তিয়া মিলন মেলার শুভ উদ্বোধন করেছিলেন- সুধির বাবা। কারণ তিনি তৎকালীন সময়ে বুঝতে পেরেছিলেন জনমানবহীন এই মান্দারমনি একদিন বিশ্ব মানচিত্র স্থান পাবে। তাই তিনি ভবিষ্যতে মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভেদকে দূর করতে এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
ভারতবর্ষের বর্তমান পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে এই ধরনের কর্মসূচির ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এমনটা জানিয়েছেন, এই মিলনমেলার সভাপতি মীর মমরেজ আলী ও মেলা কমিটির কর্মকর্তা মীর এয়ার আলী। পাশাপাশি দেশের ভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত একাধিক ধর্মের ধর্মগুরুরাও জানিয়েছেন- ভারতবর্ষের প্রতিটি প্রান্তে এই ধরনের মিলনমেলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেখান থেকে বার্তা যাবে- জাতি ধর্ম ও জাতপাতের রাজনীতির উর্ধ্বে মানব ধর্ম। এই মুহূর্তে সর্ব ধর্ম সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেখানে সব ধর্মের মানুষকে একত্রিত করে- মনুষ্যত্ব, মানবিকতা, প্রেম ও ভালোবাসার বার্তা দেওয়াই এই মিলন মেলার মূল উদ্দেশ্য।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/12/hnr6Vc6Idtzq1m7erDYS.png)