বাংলাদেশির ভুয়ো পাসপোর্ট মামলার শুনানি চলাকালীন বিস্ফোরক মন্তব্য বিচারপতির

জামিনের আবেদন করে দুলাল শীল এবং স্বপ্না শীল কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে।

author-image
Jaita Chowdhury
New Update
high court.jpg

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এক বাংলাদেশির ভুয়ো পাসপোর্ট মামলার শুনানি চলাকালীন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। খারিজ করলেন দুই দম্পতির জামিনের আবেদন। ইতিপূর্বে, পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা পেশায় নাপিত দুলাল শীল ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না শীলকে জাল পাসপোর্ট করে ভারতে আসার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১৩ মাস ধরে জেল হেফাজতেই রয়েছেন দু'জনে।

জামিনের আবেদন করে দুলাল শীল এবং স্বপ্না শীল কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। আবেদনকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, ২০১০ সালে ওই দম্পতি বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে পূর্ব বর্ধমানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের ভারত সরকার প্রদত্ত আসল আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ড রয়েছে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে তাঁরা বাড়িও পেয়েছেন। তারপরও পুলিশ বিনা কারণে তাঁদের গত এক বছর এক মাস ধরে নকল পাসপোর্ট থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে রেখেছে বলে অভিযোগ।

বিচারপতি দেবাংশু বসাক মামলাকারীর আইনজীবীকে বলেন, এদেশে আসা সব বাংলাদেশিদের কাছেই ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড আছে। আপনি ইনকাম ট্যাক্স দেন কি না জানি না, কিন্তু ওই সমস্ত বাংলাদেশিরা সকলেই ইনকাম ট্যাক্সও দেয়। জাল পাসপোর্ট বানিয়ে ভারতে আসা বাংলাদেশীদের অনেকের কাছেই এইরকম আধার কার্ড, ভোটার কার্ড রয়েছে। দেখছেন না, আমেরিকাও তো অবৈধভাবে থাকার অভিযোগে আমাদের দেশের কতজনকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে! তাই, তাতে কিছু প্রমাণ হয় না। তাঁরা যে ভারতের প্রকৃত নাগরিক, সেই প্রমাণপত্র বা সরকারি নথি নিয়ে আসুন, আমি জামিন দিয়ে দেব।

আবেদনকারীর আইনজীবী পাল্টা বলেন, সেই সরকারি নথি তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর মক্কেলরা বৈধভাবেই ভারতে রয়েছেন এবং ভারতের নাগরিক। তাঁরা কোনও জাল পাসপোর্ট তৈরি করেননি। মক্কেলরা কোনও ফরেন সিটিজেনশিপ অ্যাক্টের আওতায় পড়েন না।