নিজস্ব প্রতিনিধি: রাতে খাওয়া দাওয়া করে সকালে ঘুম থেকে উঠে যথারীতি নিত্যকর্ম সেরেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন যুবক, চলে গেলেন চিরতরে। কী এমন ঘটল যে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিতে হলো তাকে? দাসপুর থানার ডিয়াল নহলা চাঁইপাট গ্রামের বছর ৩৮ এর যুবক সীমন্ত দোলই এর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য গোটা গ্রামে। স্থানীয়দের মতে গ্রামে সবার প্রিয় পাত্র ছিলেন পেশায় স্বর্ণশিল্পী সীমন্ত। কর্মসূত্রে কলকাতায় স্ত্রী ওই দুই মেয়ে নিয়ে থাকতেন তিনি। পরিবারের লোকের বক্তব্য অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ তিনি একাই দাসপুরের বাড়িতে মাকে দেখতে আসেন তিনি। রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর শনিবার সকালে বাথরুম সেরে বৌদি ও বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলে পুনরায় নিজের রুমে ঘুমাতে যান। বেলা গড়িয়ে গেলে সে উঠছে না দেখে ডাকাডাকি করেও তার সারা না পেয়ে দরজা খুলে তাকে একটি হুক থেকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রামীন চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার পেছনে ব্যবসায়িক ক্ষতি ও কোন তান্ত্রিক সঙ্গের কারণে দেনাগ্রস্থ কারণকে দায়ী করছেন পরিবারের লোক। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দাসপুর থানার পুলিশ।