নিজস্ব সংবাদদাতা: ধর্ষণের মামলায় জামিন দিতে গিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতির মন্তব্যকে "অসংবেদনশীল" বলে কড়া সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সিংয়ের সেই পর্যবেক্ষণ ঘিরে বিস্ময় প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, দিল্লির একটি বারে এক যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয় অভিযুক্তের, সেখান থেকেই শুরু হয় ঘটনা। গত ১১ মার্চ, এলাহাবাদ হাইকোর্ট অভিযুক্তকে জামিন দেয়। কিন্তু, জামিন মঞ্জুরের সময় বিচারপতি মন্তব্য করেন— "নির্যাতিতা মদ্যপ অবস্থায় অভিযুক্তের বাড়ি যেতে রাজি হয়েছিলেন, তিনিই সমস্যার সূত্রপাত ঘটান। তিনি একজন স্নাতকোত্তর ছাত্রী, তাই সচেতনভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/15/373BoGoREqJ0k9WMNVnM.jpg)
এই মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানায় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বি আর গবই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, "জামিন দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু এমন মন্তব্য কেন? বিচারপতিরা যখন আদালতের রায় দেন, তখন তাঁদের আরও সংবেদনশীল ও সচেতন হওয়া উচিত।"
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বিচারপতিদের মন্তব্যের ক্ষেত্রে সংযম প্রয়োজন। অভিযোগকারীর ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করা অনুচিত। আইনি সিদ্ধান্তে নিরপেক্ষতা ও সহানুভূতির ভারসাম্য জরুরি। এই ঘটনা ফের একবার মনে করিয়ে দিল, যৌন নির্যাতনের মামলায় বিচারপ্রক্রিয়ায় কেমন সংবেদনশীলতা কাম্য—এবং তার অভাব কতটা হতাশাজনক প্রভাব ফেলতে পারে সমাজ ও বিচারব্যবস্থার উপর।
যুবতী সমস্যা নিজে ডেকেছিলেন! ধর্ষণের মামলায় হাইকোর্টের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা সুপ্রিম কোর্টের
ধর্ষণের মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা সুপ্রিম কোর্টের।
নিজস্ব সংবাদদাতা: ধর্ষণের মামলায় জামিন দিতে গিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতির মন্তব্যকে "অসংবেদনশীল" বলে কড়া সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সিংয়ের সেই পর্যবেক্ষণ ঘিরে বিস্ময় প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, দিল্লির একটি বারে এক যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয় অভিযুক্তের, সেখান থেকেই শুরু হয় ঘটনা। গত ১১ মার্চ, এলাহাবাদ হাইকোর্ট অভিযুক্তকে জামিন দেয়। কিন্তু, জামিন মঞ্জুরের সময় বিচারপতি মন্তব্য করেন— "নির্যাতিতা মদ্যপ অবস্থায় অভিযুক্তের বাড়ি যেতে রাজি হয়েছিলেন, তিনিই সমস্যার সূত্রপাত ঘটান। তিনি একজন স্নাতকোত্তর ছাত্রী, তাই সচেতনভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"
এই মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানায় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বি আর গবই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, "জামিন দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু এমন মন্তব্য কেন? বিচারপতিরা যখন আদালতের রায় দেন, তখন তাঁদের আরও সংবেদনশীল ও সচেতন হওয়া উচিত।"
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বিচারপতিদের মন্তব্যের ক্ষেত্রে সংযম প্রয়োজন। অভিযোগকারীর ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করা অনুচিত। আইনি সিদ্ধান্তে নিরপেক্ষতা ও সহানুভূতির ভারসাম্য জরুরি। এই ঘটনা ফের একবার মনে করিয়ে দিল, যৌন নির্যাতনের মামলায় বিচারপ্রক্রিয়ায় কেমন সংবেদনশীলতা কাম্য—এবং তার অভাব কতটা হতাশাজনক প্রভাব ফেলতে পারে সমাজ ও বিচারব্যবস্থার উপর।