একেই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হল অজানা জ্বর। পশ্চিম মেদিনীপুরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১ যুবকের। এদিকে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে পদক্ষেপ করা হলেও অখুশি গ্রামবাসীরা।
দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : ডেঙ্গু আক্রান্ত গ্রামের একাধিক বাসিন্দা,সাথে অজানা জ্বরে কাবু গ্রামের আরও অনেকে।ইতিমধ্যেই অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে গ্রামেরই এক যুবকের। ডেঙ্গু ও অজানা জ্বরের কবলে চন্দ্রকোনার ভালুককুন্ডু গ্রাম।স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে খুশি নন গ্রামবাসীরা।ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভালুককুন্ডু গ্রামের।জানা যায়,বেশ কয়েকদিন ধরেই ভালুককুন্ডু গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জ্বরে আক্রান্ত হন,ধীরে ধীরে সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের মতে,গ্রামে ইতিমধ্যে ৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলেছে,পাশাপাশি গ্রামের আরও অনেকে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে ইতিমধ্যে ওই গ্রামে বিভিন্ন টিম পাঠিয়ে প্রতিরোধে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন,'একজন যুবক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে,তবে সে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কিনা আমরা নিশ্চিত নই,সেরকম কোনো রিপোর্ট আমাদের কাছে নেই।তবে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মানছেন এই মরসুমে জমা জল থেকে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব অনেকটাই বেড়েছে সাথে ভাইরাল ফিবারও প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে।' স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া থেকে গ্রামবাসীদের সচেতন করা হচ্ছে বলে জানান চন্দ্রকোনা-২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি।স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান যাই বলুক ভালুককুন্ডু গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি,তাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ বর্তমানে জ্বরে আক্রান্ত তাতে বেশকয়েকজন ডেঙ্গু আক্রান্তও রয়েছে বলে দাবি তাদের।এমনকি গ্রামের কয়েকটি পরিবারের সকল সদস্যই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে।ডেঙ্গু সাথে অজানা জ্বরে কাবু গোটা গ্রাম,অসুস্থদের কেউ চন্দ্রকোনা,ঘাটাল বা মেদিনীপুর হাসপাতালে আবার কেউ বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন,কেউ কেউ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন।স্বাস্থ্য দপ্তর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও তাতে ক্ষুব্ধ গ্রামের বাসিন্দারা।ডেঙ্গু মশা নিধনে আক্রান্ত পরিবারকে নামমাত্র একটু করে স্প্রে করার জন্য তেল দেওয়া ও গ্রামে কিছু জায়গায় ব্লিচিং ছড়িয়ে দিয়ে গেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা দাবি আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের।একদিকে ডেঙ্গু অপরদিকে মরসুমে ভাইরাল ফিবার,একের পর গ্রামবাসী জ্বরে কাবু হওয়ায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে চন্দ্রকোনার এই গ্রামে,স্বাস্থ্য দপ্তর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুক চাইছেন গ্রামের বাসিন্দারা।