নিজস্ব সংবাদদাতা: একদিকে যখন ধর্মান্ধতার জেরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিস্থিতি। ঠিক সেই সময় ধর্ম বর্ণের বেড়াজাল কেটে এক অন্যরকম কালীপুজোর প্রস্তুতিতে মেতেছে মালদা। মুসলিম মহিলার হাতে হয় কালীপুজো। এমনই ঘটনার সাক্ষী রয়েছে মালদার হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী অঞ্চলের মধ্যম কেন্দুয়া।
মা এখানে পূজো পান মুসলিম মহিলার হাতে। যিনি একসাথে তাসবি পড়েন অন্যদিকে মায়ের আরাধনা করেন। দেবী কালি এখানে শেফালী কালী নামে পরিচিত। স্বপ্নাদেশে মুসলিম মহিলার হাতেই পুজিত হন এই শেফালী কালি।
কালী পুজো হবে তাও আবার মুসলিম মহিলার হাতে! সেই সময় অনেক গ্রামবাসী বেঁকে বসেছিলেন। কিন্তু ওই যে বলে, ‘তোমার কর্ম তুমি করো মা লোকে বলে আমি করি’।
রেললাইনের ধারে ঘেসা এই শেফালী কালীর মন্দির। যেখানে পুজো করেন শেফালী বেওয়া। প্রায় ৪৭ বছর আগে এক কঠিন অসুখে পড়েছিলেন তিনি। কোন ডাক্তার ধরতে পারেননি তার রোগ। হঠাৎ ওই মুসলিম মহিলাকে স্বপ্নাদেশ দেন মা কালী। গ্রামবাসীকে এই কথা জানালে কেউ বিশ্বাস করেননি তার কথা। এরপর শেফালী দেবীর শরীরে ভর করেন মা কালী।
গ্রামবাসীদের মায়ের মুখ দিয়েই বলিয়ে দেন এই পুজো করাতে হবে শেফালীকে দিয়ে। তারপরেই সুস্থ হয়ে ওঠেন শেফালি। গ্রামের মানুষের নানান রোগের উপশম করে দেন তিনি। রেল লাইনের ধারে আগে ছোট মন্দির ছিল এখন হয়েছে বৃহৎ কালীমন্দির। বহু মানুষের ইচ্ছে পূরণ করে এই শেফালী কালি।
শেফালী বেওয়া অর্থাৎ মায়ের ভক্তকে দেখার জন্য সকলে ছুটে আসেন। সোনা রুপোর গহনা সহ আরো নানান দ্রব্যাদি দান করেন তারা। ১৫ দিন ধরে চলে পুজো। এরপরে বিসর্জন দেওয়া হয় পাশের পুকুরে।