আবহাওয়ার খামখেয়ালি! কালী প্রতিমা গড়াতেই ঘটছে বিঘ্ন

ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক কাটতেই নয়া চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা৷

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
bnhuj

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: রামনগর থেকে দীঘা, কাঁথি থেকে তমলুক কালীপুজোর প্রতিমা গড়তে সমস্যায় শিল্পীরা। আবহাওয়ার খামখেয়ালিতেই ঘটছে এই সমস্যা। সময় কম, আগুন জ্বেলে-ফ্যান চালিয়ে চলছে প্রতিমা শুকানো। 

ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক কাটতেই নয়া চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা৷ স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় শুকাচ্ছে না প্রতিমা৷ অর্ডার সাপ্লাই নিয়ে চিন্তায় মেদিনীপুরের শিল্পীরা৷ ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা৷ তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত মেদিনীপুরের মৃৎশিল্পীরা। হাতে মাত্র তিনটে দিন বাকি, তারপরই কালীপুজো৷ এখন তড়িঘড়ি আগুন জ্বেলে ও ফ্যান চালিয়ে জোরকদমে চলছে প্রতিমা শুকানোর কাজ। 

সামনেই কালী ও জগদ্ধাত্রী পুজো৷ তার কিছুদিন আগেই এহেন স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়ার জেরে বিপাকে পড়েছে জেলার মৃৎ শিল্পালয় গুলি৷ আসন্ন দুটো বড় পুজোর প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যাঘাত ঘটায় চিন্তিত শিল্পীরা৷ বিগত তিনদিন ধরে এহেন আবহাওয়ায় প্রতিমা শোকাতে রীতিমতো হিমসিম খাওয়ার অবস্থা৷ মাঝে মাঝে বৃষ্টি আসায় প্রতিমা বের করে রোদেও দেওয়া যাচ্ছে না।

bghgj

এই অবস্থায় মণ্ডপ কর্তাদের হাতে কীভাবে প্রতিমা তুলে দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা। মেদিনীপুর শহরের ধর্মার একটি মৃৎশিল্পালয়ে দেখা গেল তেমনই ছবি৷ চটজলদি প্রতিমা শুকানোর জন্য একদিকে আগুন জ্বেলে মূর্তি পোড়ানোর এবং মাটি শুকানোর কাজ চলছে, অন্যদিকে এক ও একাধিক টেবিল ফ্যান চালিয়ে চটজলদি প্রতিমা শোকানোর কাজ চলছে৷ কারণ প্রতিমা ভালো করে না শোকালে রং করা যাবে না৷

সকলেই চাইছেন আকাশ পরিষ্কার হয়ে রোদ উঠুক ঝলমলিয়ে। এই বিষয়ে মৃৎশিল্পী বলেন, "আমরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছি। প্রতিমা কিছুতেই শুকাচ্ছে না। এই আবহাওয়া যেমন ক্ষতি করেছে চাষাবাদে, তেমনি ক্ষতি করেছে আমাদের। এবারে প্রায় ৬৫টি ঠাকুরের অর্ডার রয়েছে। কিন্তু রোদ না উঠলে এই প্রতিমা শুকিয়ে তৈরি করে দেওয়া যাবে না। তাই আমরা চেষ্টা করছি ফ্যান চালিয়ে যাতে মাটির কাজগুলো চটজলদি শুকনো করা যায়৷ তবেই প্রতিমার রং করা যাবে”। 

bghuj