নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের শুরুর আগে থেকেই হিংসা এবং রক্তপাত দেখেছে রাজ্যবাসী। গণনার দিনেও তার অন্যথা হল না। ব্যালট ভাঙচুর, প্রার্থীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া ইত্যাদি নানা হিংসার ছবি ফুটে উঠেছে।
'এই যে এতগুলো মানুষ মারা গেল এর জন্য আমি খুব ব্যথিত এবং এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী হচ্ছে বিরোধী দল', ভোটের গণনার মধ্যেই মুখ খুললেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিং। আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় তিনি জানান, 'এই যে প্রতিরোধ করব, ঠ্যাং ভেঙে দেব, মেরে দেব এই ধরণের দাবিতে যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এই উত্তেজনার বশে বিরোধী দলের লোকেরা আমাদের দলের লোকেদের উপর আক্রমণ করেছে। ফলে মারামারি হয়েছে। কিন্তু এর উৎস হচ্ছে বিরোধী দল যার ফলে আজ এতগুলো লোক মারা গেল আর সবথেকে বেশি লোক আমাদের মারা গেছে। আমরা তো প্রথম থেকেই বলে আসছি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। আপনি মিলিয়ে দেখুন ওরা সবসময় বলেছে মারব, প্রতিরোধ করব, ঠ্যাং ভেঙে দেব, পুলিশকে মারব। এই যে জিনিসটা আমার মনে হয় বন্ধ হওয়া দরকার। কারুর জীবনহানি আমরা চাই না'।
এবারের পঞ্চায়েত ভোটে এখন পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে তৃণমূল। এই নিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, 'আমরা যা কাজ করেছি নিজেদের মনের মধ্যে আস্থা ছিল যে মানুষ আমাদের ভোট দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কাজ করেছে এক একটা মানুষের পরিবার ধরে ধরে। পশ্চিমবঙ্গে এমন কোনও মানুষ নেই যে এই সরকার থেকে সুবিধা পায়নি। তাই আমরা এখানে কনফিডেন্ট ছিলাম। কিন্তু এই যে ঘটনা ঘটল এটা খুব বেদনাদায়ক। আমি আপনাকে ব্যাখ্যা করতে পারব না তবে মানুষ হিসেবে খুবই লজ্জিত বিরোধীদের এই ভূমিকায়'।
এরপরেই কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিং দাবি করেন, 'মহামান্য আদালত অনেক রায়ই দিয়েছে। সেটা কার্যকরও হয়েছে। কিন্তু মহামান্য আদালত যদি সব পক্ষকে কোর্টে ডেকে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিত যে এই করতে হবে আর এই করতে পারবে না তাহলে আমার মনে হয় এই বিষয়টা হত না। অদূর ভবিষ্যতে এই বিষয়টা আমাদের আটকাতে হবে। নির্বাচন হবে, নির্বাচন চলে যাবে, আমরা শান্তিতে থাকব, যারা জিতবে তারা কাজ করবে এটাই আমাদের কাম্য'।