নিজস্ব সংবাদদাতা : চীনের তৈরি জাহাজ এবং চীনা মালিকানাধীন জাহাজগুলোর ওপর নতুন বন্দর ফি বসানোর সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকায় নিজেদের জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং চীনের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই এই পদক্ষেপ।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/05/9MZ7r2fzmIUjE7MVTm33.jpg)
ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (USTR) জানিয়েছে, আগামী ১৮০ দিনের মধ্যে এই ফি কার্যকর হবে এবং আগামী কয়েক বছরে তা ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে। তবে ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ ১৫ লাখ ডলার ফি থেকে এই সিদ্ধান্ত কিছুটা হালকা।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, চীনা জাহাজের মালিক ও পরিচালকদের কাছ থেকে ফি আদায় করা হবে কার্গোর ওজন, কনটেইনার সংখ্যা বা যানবাহনের পরিমাণ অনুযায়ী। প্রাথমিকভাবে প্রতি টন কার্গোয় ৫০ ডলার করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পরবর্তী তিন বছরে প্রতি বছর ৩০ ডলার করে বাড়বে।
চীনে তৈরি জাহাজ হলে ফি শুরু হবে প্রতি টনে ১৮ ডলার বা প্রতি কনটেইনারে ১২০ ডলার থেকে। গাড়িবাহী জাহাজ হলে প্রতি গাড়ির জন্য ফি হবে ১৫০ ডলার। তবে বছরে সর্বাধিক ছয়বার পর্যন্তই ফি নেওয়া হবে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/03/1000180672-117187.jpg)
প্রথম ধাপের এই পদক্ষেপের পর, তিন বছর পরে দ্বিতীয় ধাপে আমেরিকায় তৈরি এলএনজি (Liquified Natural Gas) পরিবহনকারী জাহাজগুলোর পক্ষে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। বিশ্লেষকদের মতে, ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের আমদানিনির্ভর শুল্ক নীতির ফলে বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এই নতুন ফি-র প্রভাবেও আমেরিকান ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত খরচের চাপ পড়বে বলে আশঙ্কা।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/21/6x2kverDCcMi4IVIH2WB.jpg)
ইতিমধ্যে অনেক চীনা পণ্য আমেরিকার পরিবর্তে ইউরোপীয় বন্দরগুলিতে পাঠানো হচ্ছে। ব্রিটেনের ফেলিক্সস্টো সহ ইউরোপের বড় বড় বন্দরে জাহাজের চাপ ও কনটেইনার জট বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ আমেরিকার শিল্পকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করলেও, স্বল্পমেয়াদে এর মূল্য চোকাতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে।