নিজস্ব সংবাদদাতা: ক্যানিংয়ের মধ্য নারায়ণপুর গ্রামে সন্দীপ ঘোষের বাংলোয় আটক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে হানা দেয় ইডি। সেখানেই চালানো হয় ম্যারাথন তল্লাশি। উঁচু প্রাচীরের ঘেরাটোপে রয়েছে বাংলোটি। সুইমিং পুল থেকে বাগান কী নেই সেই বাংলায়। প্রায় দুই বিঘা জমিটির ওপর বাংলোটি তৈরি হয়েছে।
সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের পরেই তাঁর বাংলোর হদিশ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষের স্ত্রীর নাম সঙ্গীতা। দুই জনের নামেই এই বিশাল বাংলো বাড়ির নামকরণ করা হয়েছে। কয়েক শো বিঘা জমির ওপর এই বাংলোর পাশাপাশি রয়েছে খামারবাড়ি।খামারবাড়ি তৈরি করেছেন স্থানীয় কয়েক জন যুবক। তবে সেই খামারবাড়ি পরিচালনা করতেন স্বয়ং সন্দীপ ঘোষ। এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয় যুবকরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “কয়েকবছর আগে এই বাংলোটি তৈরি হয়। এই বাংলোটি সন্দীপ ঘোষের। শুনেছি তিনি আরজি কর হাসপাতালের প্রিন্সিপাল।” বাংলোর কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, ৯ আগাস্টের পর থেকে বাংলোতে কেউ আসেনি।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রির কাজ করতেন। তিনি সন্দীপ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আরজি কর কাণ্ডে ঘটনার দিনের সেমিনার হলের সামনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে প্রসূনকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে বহু মানুষের ভিড়ে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। আরজি কর মেডিক্যালের আউটপোস্টের ওসি সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়কেও ওই ভিডিয়োতে দেখা যায় বলে দাবি করা হয়। ডেন্টা এন্ট্রির কাজ করার পরেও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের এত রমরমা ব্যবস্থা হল কীভাবে, প্রশ্ন অনেকদিন আগে থেকে সাধারণ মানুষের মনে তৈরি হয়েছিল। অন্যদিকে, ইডির তল্লাশি অভিযানে এখনও পর্যন্ত শুধু প্রসূনকেই ইডি আটক করেছে।