নিজস্ব সংবাদদাতা : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ বা প্রতিপালনমূলক শুল্কের সিদ্ধান্ত শুধু আন্তর্জাতিক বাজারকেই নাড়া দেয়নি, চরমভাবে প্রভাব ফেলেছে আমেরিকার সাধারণ মানুষের জীবনে। ২ এপ্রিল ঘোষণার পর থেকে মার্কিন জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। সুপারমার্কেট, ইলেকট্রনিক্স স্টোর, গাড়ির শোরুম থেকে শুরু করে শিশুদের পণ্যের দোকান পর্যন্ত উপচে পড়ছে ক্রেতার ভিড়।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/20/LcxBeJF5l6I5vfFsIdac.jpg)
এই নতুন ট্যারিফ অনুযায়ী, আমদানি করা নানা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক কার্যকর হয়েছে, আর ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে আরও বেশি হারে শুল্ক। তাই দাম বৃদ্ধির আশঙ্কায় মানুষ আগেভাগেই প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিচ্ছেন। বাজারে এখন প্রচণ্ড চাহিদা খাবার, ফল, সবজি, দুধ, কফি, মশলা, শিশুখাদ্য, এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের। একইসঙ্গে ইলেকট্রনিকস পণ্য—বিশেষ করে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট—যার বেশিরভাগ অংশ চীন ও তাইওয়ান থেকে আমদানি হয়, তা নিয়েও রয়েছে তীব্র চাহিদা।
পোশাক ও জুতার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে একই অবস্থা। ভারত, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় মার্কিনরা এখনই কিনে নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের বাজারেও দেখা গেছে আগ্রহ। কারণ, অনেক গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিনির্ভর, যার ফলে দাম বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ডায়াপার, খেলনা ও নির্মাণ সামগ্রীর ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/09/XLatqocWcOhU4UwUi6Rd.jpg)
ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে ‘মুক্তির দিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তিনি আমেরিকানদের আহ্বান জানিয়েছেন, "হ্যাং টাফ" অর্থাৎ শক্ত হয়ে থাকতে। তাঁর মতে, এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে আমেরিকার জন্য ‘ঐতিহাসিক জয়ের’ দরজা খুলে দেবে। তবে বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, 'এই হঠাৎ পরিবর্তন সাধারণ মানুষের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি করবে।' সময় বলবে, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন অর্থনীতির জন্য কতটা ইতিবাচক হবে। কিন্তু আপাতত মার্কিনরা যেন এক প্রকার ‘ট্যাক্স ঝড়ের’ আগে নিজেদের মতো করে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিচ্ছেন বাজারের ভেতরেই।