নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড়সড় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। মূল বেতনের সঙ্গে ভাতা, পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে ব্যর্থ হয়ে রানিং স্টাফরা কর্মবিরতিতে গেছেন। সোমবার রাত ১২টার পর নির্ধারিত ট্রেনগুলিতে ডিউটিতে যোগ না দেওয়ার কারণে দেশজুড়ে রেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। রানিং স্টাফদের মধ্যে ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকাররা রয়েছেন, যারা সকলে এই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে কমলাপুর স্টেশনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হলেও কোনো সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। রানিং স্টাফদের প্রতিনিধি সাইদুর রহমান বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে জানিয়েছেন, "দীর্ঘ আলোচনা করেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে আমরা আমাদের কর্মবিরতিতে অনড়।"
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব জানিয়েছেন যে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে জটিলতা রয়েছে। তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেছেন, আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে।
এই কর্মবিরতির কারণে বাংলাদেশজুড়ে রেল পরিষেবা কার্যত লাটে উঠেছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একাধিক বৈঠক হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো সমাধান মেলেনি।
এদিকে, সম্প্রতি বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের উত্তেজনাও বেড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা এবং সাত কলেজকে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে পড়ুয়াদের অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।