ট্রাম্পের শুল্ক ছাড়ের ভাবনা— গাড়ি শিল্পকে রক্ষা করতে ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা
আন্তর্জাতিক মঞ্চে ড. আম্বেদকরকে সম্মান
বিপদে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়— ট্রাম্পের প্রস্তাবে না! জানুন বিস্তারিত
ফিরছে কি লিবারেল পার্টি? আসন্ন নির্বাচনের ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে শোরগোল
আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বীকৃতি পেলেন ড. আম্বেদকর, নিউ ইয়র্কে ঘোষণা বিশেষ দিবস
পুতিনের মনোভাব স্পষ্ট— কূটনীতি নিয়ে বড় বার্তা দিলেন জেলেংস্কি
'আগে ইউক্রেনের পরিস্থিতি দেখে যান তারপর রাশিয়ার সাথে কথা বলুন'— ট্রাম্পকে বিরাট বার্তা জেলেনস্কির
শান্তি নাকি আপস? পুতিনকে ডেডলাইন দিলো ট্রাম্প
১৪ বছর খালি পায়ে! মোদির হাতে জুতো পরলেন রামপাল কাশ্যপ

পাকিস্তানে ভারত বিরোধী একের পর এক জঙ্গি খতম! তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে

গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে একাধিক ভারত বিরোধী একাধিক শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতা নিহত হয়েছেন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
qatal terrorists

নিজস্ব সংবাদদাতা: পাকিস্তানে হত্যা করা হলো লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা আবু কাতালকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ মার্চ রাতে তাকে হত্যা  করা হয়। আবু কাতাল লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন।

২০২৩ সালের ৯ জুন জম্মুর শিবখোড়ি থেকে ফেরার পথে তীর্থযাত্রীদের বাসে হামলার ঘটনায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ওই হামলায় ১০ জন নিহত হন। এ ছাড়া, ভারতে একাধিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত ছিল আবু কাতাল।

এটি প্রথমবার নয়, যখন পাকিস্তানে লস্কর ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা হলো। ২০২৪ সালে লাহোরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হাতে নিহত হন লস্কর জঙ্গি আমির সরফরাজ, যিনি হাফিজ সইদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৬ মে পাকিস্তানে গুলি করে হত্যা করা হয় খালিস্তান কমান্ডো ফোর্সের প্রধান পাঞ্জওয়াদকে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতে সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র করছিলেন।

২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে হত্যা করা হয়েছিল হিজবুল মুজাহিদিনের লঞ্চিং কমান্ডার বশির আহমেদ পীরকে, যিনি কুপওয়ারার বাসিন্দা ছিলেন। একই বছর ২২ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানে খুন হয় আল-কায়েদার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ইজাজ আহমেদ, যাকে 'সন্ত্রাসের বই' বলা হতো এবং যিনি ভারতে আইএস প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছিলেন।

hafiz saeed

২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে গুলিতে মারা যান আলবদরের প্রাক্তন কমান্ডার সৈয়দ খালিদ রাজা। এরপর ডিসেম্বরে করাচিতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হাতে নিহত হন পাম্পোরে সিআরপিএফ হামলার অন্যতম অভিযুক্ত আদনান আহমেদ ওরফে হানজালা আদনান।

২০২৩ সালের নভেম্বরে করাচিতে হত্যা করা হয় ভারতবিরোধী উগ্রপন্থী বক্তা মাওলানা রেহামুল্লাহকে। এর আগে, ৯ নভেম্বর খাইবার পাখতুনখোয়ায় লস্করের সন্ত্রাসী আকরাম খান এবং ৫ নভেম্বর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কর নেতা খাজা শহিদ ওরফে মিয়া মুজাহিদ খুন হয়।

এর আগে, ২০২২ সালে পাকিস্তানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল কান্দাহার বিমান ছিনতাইকারী মিস্ত্রি জহুরকে। একই বছর নেপালের কাঠমান্ডুতে খুন হয় কুখ্যাত সন্ত্রাসী লাল মহম্মদ।

এই হত্যাকাণ্ডগুলো পাকিস্তানে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, গোয়েন্দা সংস্থার গোপন অভিযানের সম্ভাবনা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।