নিজস্ব সংবাদদাতা : গাজায় ইজরায়েলের নতুন বিমান হানায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য দপ্তর। খান ইউনিসে এক তাবু ও একটি বাড়িতে রাতভর বোমা পড়ে নিহত হয়েছেন তারা। এই তাবুটি সাংবাদিকদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/07/1000182966-237131.jpg)
রবিবার ওই এলাকায় আরেকটি বিমান হামলায় দুই জন নিহত হন ও ছয় জন আহত হন, যাদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকও ছিলেন। একজন সাংবাদিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়াও, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি গোলাবর্ষণে আরও চারজন নিহত হন। দেইর আল বালাহ এলাকার একটি হাসপাতালে সাতজনের মৃতদেহ পৌঁছেছে, যাদের মধ্যে এক শিশু ও তিনজন নারী রয়েছেন। এছাড়া গাজা শহরের এক বেকারির সামনে হামলায় ছয়জন নিহত হন, তিনজন শিশু ছিলেন তাঁদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, গত মাসে ইজরায়েল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করে আবারও পূর্ণাঙ্গ সামরিক অভিযান শুরু করেছে। বর্তমানে তারা খাদ্য, জ্বালানি ও ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। জাতিসংঘের মতে, গাজায় পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। আলোচনায় গাজার যুদ্ধ এবং ট্রাম্পের নতুন ১৭% শুল্ক নিয়েও কথা হবে বলে জানানো হয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/07/1000182967-209302.jpg)
প্রসঙ্গত, এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যখন হামাসের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৫০,৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১,১৫,৩৩৮ জন। ইজরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলায় ২০,০০০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।