নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদল ঘিরে নানা জল্পনা চলছিল। অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল, এই পরিবর্তনের নেপথ্যে কি আমেরিকার কোনও যোগ রয়েছে? তবে সম্প্রতি দিল্লি সফরে এসে এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান।
সালিভান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ঢাকার অভ্যুত্থানে ওয়াশিংটনের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি আরও দাবি করেন, ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের আধিকারিকরাও এই ধারণায় বিশ্বাস করেন না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস ডেমোক্র্যাট নেতা ক্লিন্টন দম্পতির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগে তাঁকে একাধিকবার আমেরিকার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল। হাসিনা দাবি করেছিলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বের অংশ নিয়ে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করেছিল আমেরিকা।
তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে নৌঘাঁটি বানানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁর সরকারকে। এই প্রস্তাবে সায় দিলে ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করা হবে বলে দাবি করেছিলেন হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছিল। শেখ হাসিনার পতনের পর নিউইয়র্কে ক্লিন্টন ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় মহম্মদ ইউনুসকে। সেখানে তিনি ‘গণঅভ্যুত্থানের মাথা’ হিসেবে মাহফুজ আলমের পরিচয় দেন। এই ঘটনা হাসিনার অভিযোগগুলিকে আরও জোরালো করে তোলে। তবে হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, আমেরিকার কারণে হাসিনার পতন হয়েছে এমন দাবি কখনও করেননি তাঁরা।
এদিকে, দিল্লি সফরে এসে জেক সালিভান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে আমেরিকার কোনও যোগ নেই। তিনি আরও দাবি করেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াশিংটন কোনও প্রভাব বিস্তার করেনি। বাংলাদেশের ঘটনায় আমেরিকার নাম জড়ানোর পাশাপাশি, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও মার্কিন প্রভাবের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি সম্প্রতি এক দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করে, আন্তর্জাতিক প্রচারের ভিত্তিতে কংগ্রেস তাদের বিভিন্ন আক্রমণের অস্ত্র তৈরি করেছে। পেগাসাস, আদানি ইস্যু থেকে শুরু করে হাঙ্গার ইনডেক্স এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলিতে আন্তর্জাতিক মহল থেকে সমর্থন পেয়েছে কংগ্রেস।
বিজেপির দাবি, এই সমস্ত ইস্যুতে আমেরিকার যোগ থাকতে পারে। তবে জেক সালিভান এই সমস্ত অভিযোগকেও নস্যাৎ করে দেন। তাঁর মতে, ওয়াশিংটন কোনও ‘ডিপ স্টেট’ পরিচালনা করছে না। বাংলাদেশ এবং ভারতের রাজনীতিতে আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক চললেও, ওয়াশিংটনের দাবি অনুযায়ী, এই সমস্ত আলোচনা ভিত্তিহীন। তবে ভবিষ্যতে কীভাবে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়, তা দেখার বিষয়।
বাংলাদেশের পালাবদলের নেপথ্যে ছিল আমেরিকা! ভারতের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
বাংলাদেশের পালাবদলের নেপথ্যে ছিল আমেরিকা! এই বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করল ভারত।
Follow Us
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদল ঘিরে নানা জল্পনা চলছিল। অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল, এই পরিবর্তনের নেপথ্যে কি আমেরিকার কোনও যোগ রয়েছে? তবে সম্প্রতি দিল্লি সফরে এসে এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান।
সালিভান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ঢাকার অভ্যুত্থানে ওয়াশিংটনের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি আরও দাবি করেন, ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের আধিকারিকরাও এই ধারণায় বিশ্বাস করেন না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস ডেমোক্র্যাট নেতা ক্লিন্টন দম্পতির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগে তাঁকে একাধিকবার আমেরিকার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল। হাসিনা দাবি করেছিলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বের অংশ নিয়ে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করেছিল আমেরিকা।
তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে নৌঘাঁটি বানানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁর সরকারকে। এই প্রস্তাবে সায় দিলে ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করা হবে বলে দাবি করেছিলেন হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছিল। শেখ হাসিনার পতনের পর নিউইয়র্কে ক্লিন্টন ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় মহম্মদ ইউনুসকে। সেখানে তিনি ‘গণঅভ্যুত্থানের মাথা’ হিসেবে মাহফুজ আলমের পরিচয় দেন। এই ঘটনা হাসিনার অভিযোগগুলিকে আরও জোরালো করে তোলে। তবে হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, আমেরিকার কারণে হাসিনার পতন হয়েছে এমন দাবি কখনও করেননি তাঁরা।
এদিকে, দিল্লি সফরে এসে জেক সালিভান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে আমেরিকার কোনও যোগ নেই। তিনি আরও দাবি করেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াশিংটন কোনও প্রভাব বিস্তার করেনি। বাংলাদেশের ঘটনায় আমেরিকার নাম জড়ানোর পাশাপাশি, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও মার্কিন প্রভাবের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি সম্প্রতি এক দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করে, আন্তর্জাতিক প্রচারের ভিত্তিতে কংগ্রেস তাদের বিভিন্ন আক্রমণের অস্ত্র তৈরি করেছে। পেগাসাস, আদানি ইস্যু থেকে শুরু করে হাঙ্গার ইনডেক্স এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলিতে আন্তর্জাতিক মহল থেকে সমর্থন পেয়েছে কংগ্রেস।
বিজেপির দাবি, এই সমস্ত ইস্যুতে আমেরিকার যোগ থাকতে পারে। তবে জেক সালিভান এই সমস্ত অভিযোগকেও নস্যাৎ করে দেন। তাঁর মতে, ওয়াশিংটন কোনও ‘ডিপ স্টেট’ পরিচালনা করছে না। বাংলাদেশ এবং ভারতের রাজনীতিতে আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক চললেও, ওয়াশিংটনের দাবি অনুযায়ী, এই সমস্ত আলোচনা ভিত্তিহীন। তবে ভবিষ্যতে কীভাবে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়, তা দেখার বিষয়।