HMPV তে আক্রান্ত বেড়ে ৩, বয়স মাত্র ৮-৩-২ মাস, চিন্তা বাড়ছে মা-বাবার

বেঙ্গালুরুতে, একটি আট মাস বয়সী ছেলে এবং একটি তিন মাস বয়সী মেয়ে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
zxa

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: শ্বাসকষ্টজনিত HMPV-র তিনটি কেস ইতিমধ্যেই ভারত থেকে মিলেছে। দুটি বেঙ্গালুরু এবং একটি আহমেদাবাদ। আর তিন ক্ষেত্রেই শিশুদের বয়স ৮ মাস, ৩ মাস এবং ২ মাস। ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছে, তাই ইতিমধ্যেই আইসোলেটেড করা হয়েছে ঐ শিশুদের। তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, তিন শিশুর ক্ষেত্রেই কেস সামারিতে দেখা গেছে, তাঁদের তিনজনেরই বিদেশে ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। তাই আতঙ্কটা আরও একটি বেশি জোরাল হচ্ছে অভিভাবকদের মধ্যে। 

বেঙ্গালুরুতে, একটি আট মাস বয়সী ছেলে এবং একটি তিন মাস বয়সী মেয়ে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাঁদের রিপোর্টে ধরা পড়েছে সেটি। একই সাথে জানা গিয়েছে, তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই। অন্যদিকে, আহমেদাবাদে, HMPV একটি দুই মাস বয়সী শিশুর মধ্যেও পাওয়ার গিয়েছে। সে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল। রাজস্থানের দুঙ্গারপুরের বাসিন্দা শিশুটির পরিবার চিকিৎসার জন্য আহমেদাবাদে পৌঁছেছে।

চিনে ভাইরাল সংক্রমণের বৃদ্ধির রিপোর্টের মধ্যে এই ঘটনাগুলি এসেছে যা হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (HMPV) এর সাথে যুক্ত। এটি শ্বাসযন্ত্রের প্যাথোজেন যা ২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল। ভারত সরকার, মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে, আগে বলেছিল যে HMPV একটি নতুন ভাইরাস নয় এবং এটি বিশ্বব্যাপী এবং দেশের মধ্যে প্রচলন রয়েছে। তবে এবার সেই ধারণা খানিকটা পরিবর্তন হয়েছে।

h

বেঙ্গালুরুতে শনাক্ত হওয়া দুটি HMPV কেসের ক্ষেত্রে ব্রঙ্কোপনিউমোনিয়ার ইতিহাস পাওয়া গিয়েছে। তিন মাস বয়সী শিশুকে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আট মাস বয়সী শিশুটি এখনও হাসপাতালেই রয়েছে।

এক্ষেত্রে কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও বলেছেন, “সম্পূর্ণ ঘটনা নিয়ে এখনই প্যানিক করার কিছু হয়নি। HMPV ভাইরাসের এটি নতুন স্ট্রেন। আট মাস বয়সী শিশুটি ভালো আছে এবং সম্ভবত মঙ্গলবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে”।

রাও-এর কথায়, “ভাইরাসের কারণে নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণীর মানুষের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। ভাইরাসটি প্রথম নেদারল্যান্ডে ২০০১ সালে পাওয়া গিয়েছিল”। 

news born baby.jpg

এদিনই এই সংক্রান্ত বিষয়ে, রাজ্য সরকার মেডিকেল অফিসারদের সাথে একটি বৈঠক করেছে এবং তাদের আইসিএমআর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আরও বৈঠক করতে বলেছে। কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, “এই স্ট্রেনটি চীন থেকে এসেছে কিনা আমরা জানি না। তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের কোনো ইতিহাস ছিল না। তারা তিরুপতি থেকে এসেছে। তাই সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে”।

তবে সরকার বা চিকিৎসকেরা যতই বলুন না কেন ভয়ের কিছু নেই, তবে শিশুর মা-বাবারা ফের একবার নতুন করে নতুন ভাইরাসের জন্যে ভয় পেতে শুরু করেছেন। কেননা এতো ছোট শিশুরা মুখে বলে কিছু বোঝাতে পারবে না। তাই তদের অসুবিধা গুলিও বোঝা ভীষণ কঠিন। এই বিষয়ই এবার ভাবাচ্ছে নতুন অভিভাবকদের।