নিজস্ব সংবাদদাতা: স্কুলের করিডর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করেই চেয়ারে বসে পড়ে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী। তাঁর এমন আচমকা বসে পড়ায় আশাপাশের বন্ধুরা তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে৷ কিন্তু, ততক্ষণে সেই শিশু লুটিয়ে পড়েছে মাটিতে৷ এরপর কয়েক জন তাকে জল দেয়। কিন্তু তাতে ছাত্রী প্রতিক্রিয়া দেয়না। আশপাশে থাকা সকলকে বিষয়টি জানায় তাঁরা। তড়িঘড়ি ওই শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যেতে ওই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ঘটনাটি শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আমেদাবাদের বেসরকারি স্কুলের ঘটনা। জানা যায়, স্কুলে পৌঁছনোর পরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে আট বছরের ছাত্রী গার্গী তুষার রানপারা। পরে জানা যায়, আট বছরের গার্গীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। আর তার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়৷
ঘটনাটি ধরা পড়েছে স্কুলের সিসিটিভিতে। যেখানে প্রকাশ্যে যা এসেছে সেখানে দেখা গিয়েছে যে, ওই শিশু নিজের ক্লাসের দিকে যাচ্ছিল৷ কিন্তু তাকে দেখে মনে হচ্ছিল তার কিছু একটা অস্বস্তি হচ্ছে। তারপর সে করিডরের একটি চেয়ারে বসে পড়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটি মাটিতে পড়ে যায়। তড়িঘড়ি যখন ওই স্কুলের শিক্ষকরা গিয়ে সিপিআর দিয়ে শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রিন্সিপাল এই ঘটনায় জানান, সেদিন গার্গী স্কুলে এসে আচমকায় বুকে ব্যথা অনুভব করে৷ গার্গীর নিঃশ্বাসের সমস্যা হচ্ছিল। ওখানে থাকা স্কুলের কর্মী থেকে শিক্ষকরা তখন তাড়াতাড়ি অ্যাম্বুলেন্সে ফোন করেন। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় স্কুল কর্মীদের গাড়িতে করেই নিকটবর্তী জাইডাস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গার্গীকে৷