সরকারি যাত্রী প্রতীক্ষালয় এখন মিষ্টান্ন ভান্ডার! ক্ষোভে যাত্রীরা, দুর্গাপুরে অভিনব দৃশ্য

দুর্গাপুরে অভিনব দৃশ্য।

author-image
Aniket
আপডেট করা হয়েছে
New Update
c

নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি প্রতীক্ষালয় এখন মিষ্টান্ন ভান্ডার! ক্ষোভে যাত্রীরা। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস নগর নিগমের, সমালোচনায় বিরোধীরা। দুর্গাপুরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হার্ডকো মোড়ে রয়েছে একটি মিষ্টির দোকান। তার পাশেই রয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমের উদ্যোগে গড়ে উঠা যাত্রী প্রতীক্ষালয়। আর সেই যাত্রী প্রতীক্ষালয় ব্যবহার করেই চলছে মিষ্টির দোকানের কাজকর্ম। যাত্রীদের বসার জায়গায় গচ্ছিত রয়েছে সন্দেশ, লবঙ্গ লতিকা, গজা, কচুরি সহ নানান লোভনীয় মিষ্টি। মিষ্টির দোকানের ক্রেতাদেরও খাওয়ার জন্য জায়গা দেওয়া হচ্ছে সেই প্রতীক্ষালয়ে বলে অভিযোগ।

কিন্তু বাস ধরার জন্য মানুষজন এলে তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে রোদ উপেক্ষা করে। মিষ্টির দোকানের মালিক আবার বলছেন, "এই প্রতীক্ষালয়ের দেখভাল আমিই করি, সেই জন্যই এই মিষ্টি রেখেছি"। স্থানীয় বাসিন্দা দীপক কুমার পাশওয়ানের অভিযোগ, "একাধিকবার মিষ্টির দোকানের মালিককে এগুলো সরানোর জন্য বলা হলেও কোন হেলদোল নেই। প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা নেয় না। চরম সমস্যায় ভুগতে হয় আমাদের"।

এই বিষয়কে কটাক্ষ করে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘরুই বলেন, "সারা দুর্গাপুর দখল করে নিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। এই মিষ্টির দোকান থেকেও তোলা নেওয়া হচ্ছে, কাটমানি নিচ্ছে প্রাক্তন কাউন্সিলররা। সেই জন্যই দোকানের মালিক ব্যবহার করছেন বাসযাত্রী প্রতীক্ষালয়"।

দোকানের মালিক গৌতম বটব্যাল বলেন, "নববর্ষের জন্য দোকানে কাজকর্ম হচ্ছে। সেই জন্যই মিষ্টি রাখা হয়েছে প্রতীক্ষালয়ে। আমি এই যাত্রী প্রতীক্ষালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি, সেই জন্যই মিষ্টি এবং দোকানের জিনিসপত্র রেখেছি"। "আমরা সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম", দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারির।