হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে লাখো পুণ্যার্থীর উপস্থিতিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী স্নানোৎসব শুরু হয়েছে। শনিবার রাত ১১টা ৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে স্নানের লগ্ন শেষ হবে। শুক্রবার রাত ৯টা ১১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে স্নান লগ্ন শুরু হয়। এসময়ের মধ্যে লাঙ্গলবন্দের ১৮টি ঘাটে তীর্থযাত্রীরা স্নানপর্ব সারবেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্নানোৎসবে অংশ নিয়েছেন। ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরীতকী, আম্রপল্লব, ফলসহ পুণ্যার্থীরা স্নান করতে ব্রহ্মপুত্র নদে নামছেন। স্নানঘাটগুলোতে হচ্ছে বাসন্তী পুজো। স্নানোৎসবকে কেন্দ্র করে তিন কিলোমিটার এলাকায় নদের তীরে বসেছে মেলা। মেলায় ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি, মাটির তৈরি বিভিন্ন তৈজষপত্র, খেলনা বিক্রি হচ্ছে। লাঙ্গলবন্দের বিভিন্ন মন্দিরগুলোতে চলছে ভক্তিমূলক গান। সেবাশ্রমগুলো থেকে বিতরণ করা হচ্ছে খিচুড়ি, দুধ, পানিসহ বিভিন্ন খাবার। অষ্টমীর স্নান উপলক্ষে লাঙ্গলবন্দ এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ।
এই বছর ৮ থেকে ১০ লাখ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে। দুই বছর করোনা মহামারিতে বন্ধ থাকা ও সপ্তাহের ছুটির দিন হওয়ায় ভক্ত সমাগম বেশি হয়েছে। এই পুণ্যার্থীদের জন্য ৪০ টি সেবাক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা আছেন। সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলোও রয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় লাঙ্গলবন্দ এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। ১৫০০ অধিক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। ওয়াচ টাওয়ারসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ টহল দিচ্ছে। এছাড়াও নৌ-পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, কোস্টগার্ডও কাজ করছে। কোনো ধরনের যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এইসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম।