নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: জঙ্গলমহলের অন্তর্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের কর্ণগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন জঙ্গল ঘেরা "পীরচক" গ্রাম! গ্রামে বসবাস করে লোধা সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ১১ টি দরিদ্র পরিবার। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই বসবাস করে আসছেন তারা। চারিদিকে জঙ্গল ঘেরা, তার মাঝেই ছোট্ট একটি গ্রাম। উন্নয়নের ছিটেফোটাও পৌঁছয়নি দীর্ঘদিন ধরে এই পীরচক গ্রামে। অবশেষে বিষয়টি নজরে আসে শালবনি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এবং জেলা শাসকের। জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় "পীরচক" গ্রামে গড়ে ওঠে "ভোরের আলো" নামে একটি পাঠদানের কেন্দ্র ও পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগও এবং জল খাওয়ার জন্য সৌরবিদ্যুৎ চালিত নলকূপেরও ব্যবস্থা করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামের মহিলাদের জন্য লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের দূরের বিদ্যালয়ে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হেঁটে হেঁটে পড়তে যেতে হতো। জেলাশাসকের উদ্যোগে একটি টোটোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে যাতায়াতের জন্য। সেই সঙ্গে ১১ টি পরিবারকে তপশিলি জাতিভুক্ত করা হয়েছে, সেই সঙ্গে বৃদ্ধ ভাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে এই "পীরচক" গ্রামের এগারোটি পরিবারকে। উন্নয়নের শুরু হলেও বসবাসের স্থানে জমির পার্টটা সহ যাতায়াতের রাস্তাটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করে দিলে উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন পীরচকবাসীরা। দীর্ঘদিন পর অন্ধকার কাটিয়ে জঙ্গল ঘেরা পীরচক গ্রামে আলোর উন্নয়ন এসে পৌঁছানতে খুশি গ্রামের মানুষজন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শালবনি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রোমান মন্ডল বলেছেন, "দীর্ঘদিন ধরে ওই পিছিয়ে থাকা গ্রামে সরকারের উন্নয়ন পৌঁছে দিতে পেরে আমরাও কৃতার্থ। জেলাশাসকের উদ্যোগে সম্পূর্ণ উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে জঙ্গল ঘেরা পীরচক গ্রামে। আগামী দিনেও সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা ও উন্নয়ন পৌঁছাবে পীরচক গ্রামে"।