নিজস্ব প্রতিবেদন : বন্যা কবলিত হুগলিতে বেড়েছে সাপের আতঙ্ক ! সাপের কামড়ের জন্য বহু মানুষ চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এক সপ্তাহ প্রায় ৩৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সাপে কামড়ানোর জন্য। বন্যার জল বাড়ায় আতঙ্ক বেড়েছে মানুষের মনে। বন্যার কচুরিপানার সঙ্গে সাপ ঢুকছে লোকের ঘরে ঘরে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রায় ৩৯ জন মানুষ সাপে কামড়ানোর কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বন্যার জল বৃদ্ধির সাথে সাথে কচুরিপানার মধ্যে সাপ ঢুকে পড়ছে মানুষের বাসায়, যা আরও বেশি উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। সাপে কামড়ানোর কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত চিকিৎসা না হলে সাপে কামড়ানোর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ কারণে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীরা সাপের কামড়ের চিকিৎসায় সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করছেন।
এদিকে, পোলবা এলাকায় উদ্ধার হয়েছে ১৬টি গোখরো সাপের ডিম। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য এ ঘটনা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, বন্যার ফলে সাপের ডিমগুলি জলাভূমিতে আটকে পড়েছে এবং সেখান থেকে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সাপের কামড়ের ঘটনাগুলি রোধ করতে সচেতনতা ক্যাম্পের আয়োজন করেছে। তারা জনগণকে জানাচ্ছে, সাপের উপস্থিতি কমাতে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সাপের কামড় হলে কিভাবে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
সাপের আতঙ্ক দূর করতে স্থানীয়রা এখন মশাল জ্বালিয়ে ও সুরক্ষা কৌশল অবলম্বন করছেন। বন্যার পরিস্থিতি চলাকালীন এই ধরনের উদ্যোগের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে, যাতে মানুষ সাপের কামড় থেকে রক্ষা পায়। বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে এখন সাপের উপস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।