নিজস্ব সংবাদদাতা: পর্যটনে বিশেষ নজরদারির কথা ঘোষনা করেছে রাজ্য সরকার। অথচ পর্যটনস্থল গুলোতে নূন্যতম পরিষেবা, শৌচালয় আজ পর্যন্ত চালু করতে পারলো না প্রশাসন। এর কারন জানতে গিয়ে জেলা শাসক জেলা বন আধিকারিক DFO কেই কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
শান্ত জঙ্গলমহল এখন পর্যটক দের অন্যতম ডেস্টিনেশন। সারা বছরই কম বেশী পর্যটক দের ভিড় থাকে এখানে। তার মধ্যে অন্যতম ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি। নদী,পাহাড়, জঙ্গল এর সহাবস্থান দেখতে প্রচুর পর্যটক ভিড় করেন এখানে। অথচ এখানে ঘুরতে এসে চরম সমস্যায় পড়েন পর্যটকরা। মহিলা পর্যটকদের সমস্যা আরো কয়েকগুন বেশী। কারন বেলপাহাড়ি তে একাধিক ট্যুরিস্ট স্পট রয়েছে। এগুলো ঘুরতে সারাদিন লেগে যায়। এই সময় কারো টয়েলট এর প্রয়োজন পড়লে চরম সমস্যায় পড়ে যান পর্যটকরা।
তখন একমাত্র প্রকৃতির কোলকেই ব্যবহার করতে বাধ্য হন তারা। পুরুষেরা বাইরে প্রকৃতিকে ব্যবহার করলেও মহিলারা সহজে তা করতে পারেননা। এই সমস্যার কথা সমস্ত তরফে বারবার জানানোর পর গত বছর বেলপাহাড়ির কাঁকড়াঝোড়, খাদারানি, ঢাঙিকুসুম, লালজল, ঘাঘরা সহ বিভিন্ন ট্যুরিষ্ট স্পট গুলোতে মোট আটটি বাথরুম নির্মান করা হয়।
ট্যুরিষ্ট স্পট গুলি বনদফতর এর জায়গায় হওয়ার জন্য, জেলা প্রশাসন বন দফতর কে জলের ব্যবস্থা সহ বাথরুম গুলির তৈরীর খরচ বনদফতর এর হাতে তুলে দেয়। সেই অনুযায়ী আটটি বাথরুম তৈরী হলেও ২টি বাদে বাকি ৬ টি বাথরুম তৈরী হয়ে আজও বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
ট্যুরিষ্ট স্পটের ব্যবসায়ী থেকে সাধারন মানুষ সকলেই বারবার অসুবিধরা কথা বলছে তবু বন দফতর এই বাথরুম চালুর ব্যাপারে নির্বিকার।