খড়গপুরে শিল্প দূষণ প্রতিরোধ কমিটির আন্দোলন, সামিল কৃষিজমি জীবন জীবিকা রক্ষা কমিটি

দূষণ প্রতিরোধ কমিটির আন্দোলন।

author-image
Adrita
New Update
া

নিজস্ব সংবাদদাতা, খড়গপুরঃ খড়গপুর শহরের বায়ু শিল্পের  দূষণের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েই চলেছে। প্রতিবছর শীত পড়লেই জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত রেশমী গ্ৰুপের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে সিলিকন মিশ্রিত কালো গুড়ো উড়ে এসে বাড়িতে প্রবেশ করছে। এমনকি শরীরের ভিতরেও ঢুকে চামড়া, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ এমনকি দুরারোগ্য ক‍্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে শহরে। শীতের সময় এলেই বাচ্চাদের ও বড়োদের শরীর খারাপ হতে শুরু করে। কালো ধুলোর কবলে গাছের পাতা, পুকুর, জলাশয়। গাছের পাতা তাদের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ঠিক মতো করতে পারছে না। যারজন্য ভবিষ্যতে অক্সিজেনের ভারসাম্যে সমস্যা হতে পারে। পুকুরের জলে ধুলো পড়ায়, পুকুর ও জলাশয় বাস্তুত্রন্ত্র  ক্ষতি হচ্ছে। খড়গপুর গ্ৰামীণের চাষবাস থেকে শুরু পশু চারণভূমি ক্ষতিগ্রস্ত।

সামগ্ৰিক ভাবে পরিবেশের ক্ষতি হয়ে চলছে। কারখানা বেশ কিছু ছোট ব্যবস্থা গ্ৰহণ করলেও, দূষণের মূল উৎস কালো ধোঁয়া, সিলিকন গুঁড়ো আটকানোর জন্য যে যন্ত্রপাতি চালানোর কথা, তা চালানো হচ্ছে না। লাগাতার দূষণের বিরুদ্ধে আজ খড়গপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে গণ ডেপুটেশন দেওয়া হয়। খড়গপুর শিল্প দূষণ প্রতিরোধ কমিটির দাবি অনুযায়ী ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে খড়গপুর মহকুমা শাসক অশোক যোগেশরাও পাতিলের উপস্থিতিতে হলদিয়া দূষণ পর্ষদের আধিকারিক, রেশমী গ্ৰুপের G.M. অভিজিৎ রায় সহ অন্যান্যরা এবং দূষণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা। 

বৈঠকে SDO জানিয়েছেন দূষণের মাত্রা তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঘুরে উপলদ্ধি করেছেন। এবং তিনি জানান খড়গপুরের শিল্পাঞ্চল এলাকায় বায়ু দূষণ পরিমাপক(AQI)যন্ত্র বসানো এবং নতুন দূষণ দপ্তর করা হবে খড়গপুরে। এবং রেশমীর দূষণ দ্বারা বায়ু, জল, মাটি, কি ধরনের ক্ষতি করছে তার পর্যালোচনা IITকে দিয়ে করানোর উদ্যোগ নিবেন। কারখানা কতৃপক্ষ অতীতের মতো দূষণ নিয়ন্ত্রণের কথা বলেন। খড়গপুর শিল্প দূষণ প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে রেশমী গ্ৰুপ এবং পরিবেশ দপ্তরের কাজের উপর তদারকি করা সহ বেশকিছু প্রস্তাব দিয়ে আসা হয়েছে। 

আজকের এই সভায় খড়গপুর শিল্প দূষণ প্রতিরোধ কমিটির আন্দোলনের পাশে দাঁড়ান খড়গপুর জনজাগরণ কমিটি এবং খড়গপুর গ্ৰামীনের কৃষি জমি জীবন জীবিকা রক্ষা কমিটির নেতৃত্বরা। আজকের এই গণ বিক্ষোভে গোলবাজারস্থিত এক ক্যান্সার রোগী এসে তার কষ্টের কথা তুলে ধরেন। দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া পোষ্টকার্ডে লেখা গণ চিঠি মঞ্চ থেকে শহরবাসী পাঠানো শুরু করে।