নিজস্ব সংবাদদাতা: সামশেরগঞ্জের সাম্প্রতিক অশান্তির পেছনে লুকিয়ে রয়েছে জটিল রাজনৈতিক সমীকরণ। এই হিংসাকে ঘিরে তীব্র অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, এই অশান্তি কোনও স্বাভাবিক ঘটনা নয়, বরং এর নেপথ্যে রয়েছে নির্বাচনী ভয় এবং ষড়যন্ত্র। সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বলেন, “সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসের অপ্রত্যাশিত জয়ই হিংসার মূল কারণ। যারা ভোটে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় ছিল, তারাই এই উত্তেজনার নেপথ্যে।”
অধীর চৌধুরী পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ শুরু থেকেই নিষ্ক্রিয় ছিল এবং তা কোনও রাজনৈতিক নেতার ইশারায় নয়, বরং পুলিশেরই কোনও উচ্চপদস্থ কর্তার ‘অঙ্গুলিহেলনে’। তিনি বলেন, “পুলিশের মধ্যে ‘ফিফথ কলাম’ কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিএসএফ-কে ডেকে বসিয়ে রাখা হল কেন? এটা সাধারণ ঘটনা নয়।”
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/15/1000187853-732951.jpg)
অধীরের আরও দাবি, অশান্তি প্রথমে শুরু হয় জঙ্গিপুরের উমরপুরে, সেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে সামশেরগঞ্জ, বেলডাঙা, নওদা, এমনকি পুরো মুর্শিদাবাদ জুড়ে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “পুলিশ কি জেলার ভূগোল বা জনবিন্যাস বোঝে না?” তাঁর বক্তব্য, এই হিংসা পূর্ব পরিকল্পিত এবং এর মধ্যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।
অধীর চৌধুরী পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ শুরু থেকেই নিষ্ক্রিয় ছিল এবং তা কোনও রাজনৈতিক নেতার ইশারায় নয়, বরং পুলিশেরই কোনও উচ্চপদস্থ কর্তার ‘অঙ্গুলিহেলনে’। তিনি বলেন, “পুলিশের মধ্যে ‘ফিফথ কলাম’ কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিএসএফ-কে ডেকে বসিয়ে রাখা হল কেন? এটা সাধারণ ঘটনা নয়।”
অধীরের আরও দাবি, অশান্তি প্রথমে শুরু হয় জঙ্গিপুরের উমরপুরে, সেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে সামশেরগঞ্জ, বেলডাঙা, নওদা, এমনকি পুরো মুর্শিদাবাদ জুড়ে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “পুলিশ কি জেলার ভূগোল বা জনবিন্যাস বোঝে না?” তাঁর বক্তব্য, এই হিংসা পূর্ব পরিকল্পিত এবং এর মধ্যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।
ঘটনার পর সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদ ফিরে অধীর প্রথমে গুলিবিদ্ধদের সঙ্গে দেখা করেন হাসপাতালে, এরপর যান সামশেরগঞ্জে। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, “দয়া করে মুর্শিদাবাদে এসে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দিন।” একইসঙ্গে তিনি তৃণমূল ও বিজেপি— দুই দলকেই এই হিংসার জন্য দায়ী করেন।